জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমন ১০০ ছাড়াল

বগুড়ায় সনাক্তের ৫০তম দিনে  করোনায় সর্বোচ্চ ১৭জন আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২০ মে ২০২০ ১৬:০০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৯৬ বার।

বগুড়ায় করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ার ৫০তম দিনে বুধবার সর্বোচ্চ ১৭জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর এতে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১২জনে ঠেকেছে। বগুড়ায় গত ১ এপ্রিল সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী সনাক্ত করা হয়।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, স্থানীয় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যবে ২০ মে বুধবার যে ১৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭টি পজিটিভ। এর মধ্যে ৬ কারারক্ষীসহ ৭জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত। বাকি ১০জন ঢাকা ও চট্টগ্রামফেরত। আক্রান্তদের মধ্যে বগুড়া সদরেই সবচেয়ে বেশি ৯জন রয়েছেন। এছাড়া শেরপুর উপজেলার ৩জন, গাবতলী উপজেলার ৪জন এবং বাদবাকী একজনের বাড়ি রংপুর জেলায়। করোনা আক্রান্তদের বয়স ১৭ থেকে ৫৯ বছর। গত ১৬ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বগুড়া সদরে আক্রান্ত ৯জনের মধ্যে ৬ কারারক্ষী রয়েছেন। অপর তিনজন ঢাকাফেরত হলেও তাদের একজনের বাড়ি মালগ্রাম বলে উল্লেখ হয়েছে। বাকি দু’জনের ঠিকানা জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া শেরপুর উপজেলার যে ৩জন পজিটিভ হয়েছেন তাদের একজন পুলিশের কনস্টেবল। বাকি দু’জন ঢাকাফেরত এবং তাদের বাড়ি কসাইপাড়া ও খামারকান্দি এলাকায়। জেলার গাবতলী উপজেলার এক দম্পতিসহ ঢাকাফেরত ৪জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত দম্পতির বাড়ি উপজেলার নাড়–য়ামালা এলাকায়। বাকি দু’জনের একজনের বাড়ি দক্ষিণপাড়া এবং অপরজনের বাড়ি রামেশ্বরপুর গ্রামে।
অন্যদিকে বগুড়ায় মহাসড়কের পাশ থেকে গত ১৮ মে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা রংপুরের ৩৬ বছর বয়সী সেই ব্যক্তির শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। বর্তমানে তিনি বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, প্রায় ২৪ ঘন্টা পর মঙ্গলবার রাতে ওই ব্যক্তির জ্ঞান ফিরেছে। তিনি বলেন, সংজ্ঞাহীন থাকা অবস্থাতেই রংপুর থেকে তার ভাইসহ স্বজনরা মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু তার নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছিল সে কারণেই তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, ‘ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার কোন উপসর্গ নেই। কিন্তু তার পরেও যেহেতু নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে তাই তাকে গ্রীণ জোন থেকে করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’