বগুড়ায় সর্বোচ্চ ২৪ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত: একজনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার ৫২তম দিনে শুক্রবার সর্বোচ্চ ২৪জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার খবর জানালো সিভিল সার্জন কার্যালয়। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় এই প্রথম কোন মৃত্যুর তথ্যও দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুবরণকারী সাবেক সাংসদ কামরুন্নাহার পুতুলের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন। এছাড়া তার পরিবারের অপর ৩ সদস্যও করোনা পজিটিভ।
নতুন করে আক্রান্ত ২৪জনকে নিয়ে বগুড়ায় এ পর্যন্ত ১৪৩জন প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬জন। বগুড়ায় গত ১এপ্রিল সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী সনাক্ত হয়। শুক্রবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যবে জেলার মোট ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আক্রান্তদের বয়স ১৮ থেকে ৬২। গত ১৯ মে থেকে ২১ মে’র মধ্যে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, আক্রান্তদের মধ্যে ৮নজনই বগুড়া সদরের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রিপোর্ট আসার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে সাবেক সাংসদ কামরুন্নাহার পুতুলের মৃত্যু হয়। তবে তার ছেলে, ছেলের স্ত্রী এবং বাড়ির একজন কেয়ারটেকারও করোনা পজিটিভ। এছাড়া সদর উপজেলার গোকুল ধাওয়াকোলার এক ব্যক্তি, শহরের নূরানী মোড় এলাকার একজন এবং অপর একজন চকসুত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া আগে থেকেই করোনা আইসোলেশন ইউনিট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তিও কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে সারিয়াকান্দিতে নতুন করে আরও ৬জন সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের ৩জনের বাড়ি নারচীতে এবং বাকি ৩জন কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। জেলার পশ্চিমের উপজেলা দুপচাঁচিয়ার তিন ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের একজনের বাড়ি মণ্ডলপাড়া বলে জানানো হলে বাকি দু’জনের কোন ঠিকানা স্বাস্থ্য বিভাগ জানাতে পারেনি। এছাড়া কাহালু ও আদমদীঘির দু’জন করে ৪জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জ ও গাবতলী উপজেলায় আরও একজন করে আরও ৩জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, আক্রান্তদের আপাতত নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে তাদেরকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।