এক সময়ের সহযোগীরাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত

বগুড়ায় যুবলীগ নেতা ফিরোজের খুনীরা অধরাঃ স্ত্রীর মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২০ ১২:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৩১ বার।

বগুড়ায় যুবলীগ নেতা ফিরোজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৮জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন নিহত ফিরোজের স্ত্রী সুমি আকতার। মামলায় আসামীর তালিকায় আরও ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামাকে উল্লেখ করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানিয়েছেন, তারা মাছের ব্যবসা এবং এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কসহ কয়েকটি ঘটনাকে ক্লু হিসেবে ধরে নিয়ে তদন্ত করছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে শহরের জহুরুলনগর এলাকায় সন্ত্রাসীরা একটি মেসে ঢুকে যুবলীগের বগুড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজকে কুপিয়ে হত্যা করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় মিমো ও ইমরান নামে ফিরোজের আরও দুই সহযোগী আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, শহরের চকসুত্রাপুর চাপড়পাড়া মহল্লার ফজলার রহমানের ছেলে ফিরোজের বিরুদ্ধে শাকিল আহমেদ ওরফে বি ক্লাশ শাকিল নামে অপর এক সন্ত্রাসীকে হত্যাসহ অন্তত ৪টি মামলা রয়েছে। বুধবার বাদ আসর চকসুত্রাপুরে জানাজা শেষে নামাজগড় গোরস্থানে তাকে দাফনের কথা রয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রভাবশালী এক নেতার বিরাগ ভাজন হওয়ার কারণেই ফিরোজকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাশালী সেই নেতার ছত্রছায়ায় থাকলেও সম্প্রতি নানা কারণে তার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তখন ফিরোজ এমন একজনের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থী হন- যার সঙ্গে সেই প্রভাবশালীর সম্পর্কটা সাপে-নেউলে। সূত্রগুলো জানায়, ফিরোজ হত্যাকাণ্ডে বাইরের কেউ নয় বরং তার এক সময়ের সহযোগীরাই জড়িত।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ফিরোজ সন্ত্রাসী শাকিল আহমেদ ওরফে বিক্লাশ শাকিল হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাতে চকসুত্রাপুর সুইপার পট্টিতে মদ কেনা বিরোধের জেরে বিক্লাশ শাকিল খুন হন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘন্টা পর মঙ্গলবার রাতেই নিহত ফিরোজের স্ত্রী সুমি আকতার মামলা করেছন। মামলায় তিনি ৮জনের নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৭/৮জনের জড়িত থাকার কথা বলেছেন। হত্যাকাণ্ডের ক্লু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি। এর মধ্যে মাছের ব্যবসা এবং এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিরোধের মত আরও কয়েকটি ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করছি খুব শিগগির আসামীদের ধরতে পারবো।’