করোনাঃ বগুড়ায় ৪১ থেকে ৫০ বছর  বয়সীরাই বেশি আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২০ ১৬:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৫ বার।

বয়সীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। তাদের আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম মাত্র শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হারও একেবারে কম নয়, আর তা হলো ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। নতুন এই ভাইরাসে মহিলাদের চেয়ে পুরুষই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন রোববার রাতে জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে যে ব্রিফ করেন তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বগুড়ায় গত ১ এপ্রিল প্রথম একজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত হয়। তার পর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জেলায় মোট ৩৫৭জন আক্রান্ত হন। বগুড়ায় এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৫০০ নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ জনের। তার মধ্যে ৩৫৭জন বা ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্তদের বয়স বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, জেলায় মোট আক্রান্ত ৩৫৭জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৫জনেরই বয়স ৪১ থেকে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে। সংক্রমণের ক্ষেত্রে তার পরের অবস্থানে রয়েছেন ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা। ৩১ মে পর্যন্ত ওই বয়সের ১২৮জন নারী-পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন। শতকরা হিসেবে যা ৩৫ দশমিক ৮৫। মারাত্মক ছোঁয়াচে ওই ভাইরাসে ৪৩জন বা ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা। আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ শিশু রয়েছে ১৮জন এবং সত্তর বছরের বেশি বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩জন।
বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত ৩৭৫জনের মধ্যে ২৬৫জন বা ৭৪ দশমিক ২২ শতাংশ পুরুষ। নারীদের মধ্যে ৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শতকরা হিসেবে যা ২০ দশমিক ৭২।
বগুড়ায় করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে সদর উপজেলায়। ৩১ মে পর্যন্ত সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১৯৮জন আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭জন আক্রান্ত হয়েছেন শাজাহানপুরে। আক্রান্তের দিক থেকে এর পরে রয়েছে যথাক্রমে গাবতলী (২৫জন), শেরপুর (২২), সারিয়াকান্দি (১৫), কাহালু (১৪), সোনাতলা (১১), আদমদীঘি (১১), শিবগঞ্জ (৯), দুপচাঁচিয়া (৯), ধুনট (৯) ও নন্দীগ্রাম (৭জন)।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বগুড়ায় করোনারভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে।  তিনি বলেন, ‘এখন বাইরের জেলা থেকে আসা ব্যক্তিদের চেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে।