বগুড়ার ধুন‌টের আরও তিনজ‌নের ক‌রোনা শনাক্ত

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২০ ১৮:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৮৬ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আরো তিন ব্যাক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার রাতে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে ধুনট উপজেলায় মোট ৯জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে এরমধ্যে ১জন সুস্থ্য হয়েছেন।

শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ধুনট সদর ইউনিয়নের এবং আরেকজন ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা। এছাড়া শনাক্ত হওয়া আরো একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় পাওয়া দু’জনের মধ্যে একজন ঢাকা ফেরৎ এবং একজন স্থানীয় ভাবে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।

ধুনট সদর ইউনিয়নের শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির বয়স ২২ বছর। ওই তরুণের বাড়ি ধুনট সদরের কুঠিবাড়ী (কলেজপাড়া) গ্রামে। সে ধুনট বাজারের একটি বস্ত্র বিতাণের কর্মচারী। ওই তরুণ জানায়, ঈদের দিন থেকে তার শরীরে জ্বর দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সে গত বুধবারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে নমুনা দিয়েছে। রবিবার রাতে তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে ঈদ মার্কেট চলাকালে স্থানীয় ভাবে করোনায় সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারনা করছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওই তরুণ জানায়, রবিবার রাতেই পুলিশ তার বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে।

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের করোনা শনাক্ত হওয়া ৩৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি বানিয়াজান গ্রামে। তিনি সাভারের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। প্রায় ১ মাস আগে ঢাকায় তিনি জ্বর ও কাঁশিতে আক্রান্ত হোন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। গত শুক্রবার তিনি ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়েছিলেন। রবিবার রাতে তার করোনা শনাক্ত হয়েছে।

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, বানিয়াজান গ্রামের ঢাকা ফেরৎ ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরআগে থেকে ওই বাড়িটি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে রোববার ধুনট উপজেলায় দুই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ধুনট উপজেলার তিনজন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে মর্মে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, শনাক্ত হওয়া অপর ব্যক্তি বগুড়ায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন।

এদিকে রবিবার পর্যন্ত ধুনট উপজেলায় মোট ৯জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১জন মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের, যিনি করোনা জয় করে বগুড়ার আইসোলেশন থেকে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকাশী ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামের একজন, ভালুকাতলা গ্রামের একজন, ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিম ভরনশাহী গ্রামের একজন, স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার একজন, ধুনট সদর ইউনিয়নের কুঠিবাড়ী গ্রামের একজন, ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের একজন। তারা সকলে নিজ নিজ বাড়িতে লকডাউন অবস্থায় রয়েছেন। অন্যদিকে চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের বহালগাছা গ্রামের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকায় করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তিনি সরাসরি বগুড়ায় এসে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি  হোন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত আরো একজনের তথ্য এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।