কবজিবিহীন হাতে লিখে জয় পেল জান্নাতুল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২০ ১৩:৩৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯০ বার।

ইচ্ছা থাকলে কি না হয়! কবজিবিহীন হাত দিয়ে লিখেই এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৭২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক মেয়ে। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবার। কিন্তু বিধিবাম! দূর্ঘটনায় হারাতে হয় দুই হাতের কবজি! কিন্তু হারায়নি সে স্বপ্ন, হারায়নি সে মনোবল। তাই নিরন্তর চেষ্টায় দুই হাতের অবশিষ্ট অংশ দিয়েই কলম ধরা শিখে নিয়েছে ফেরদৌস। তা দিয়ে লিখেই পার হলো স্বপ্নপুরনের প্রথম ধাপ।    
সাভারের আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকার হাজী মতিউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.৭২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস। কুমিল্লার চাটখিল উপজেলার মানিকপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ফেরদৌস মামা-খালার সাথে থাকে আশুলিয়ার পল্লীবিদুৎ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ীতে।  
দেশ রুপান্তরের খবরে বলা হয়েছে, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর ফেরদৌস'র আশ্রয় হয় মামা ও খালার সংসারে। কিন্তু মামা-খালার আর্থিক সঙ্গতি নেই তাকে পড়াশোনা করানোর। ফেরদৌস'র মা অনেক কষ্টে ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করতে পেরেছিল বলেই এবার এসএসসি পরীক্ষাটা দিতে পারলো সে।
পঙ্গুত্ব আর অস্বচ্ছলতায় জরাজীর্ণ ফেরদৌস'র জীবন! পরীক্ষায় পাসতো হলো। কিন্তু টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত। তাই সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে এই দৃঢ়চেতা মেয়ে। এখন তার একটাই স্বপ্ন, টাকার সংস্থান হলে সাভার ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ভর্তি হবে সে।   
ফেরদৌস'র মা নুলুফা বেগমও গণমাধ্যমের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, মেয়ের পড়াশোনা করার প্রবল আগ্রহ আছে। কিন্তু পড়াশোনা করানোর সামর্থ্য তার নেই। তিনি মেয়ের পড়ালেখার জন্য দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আশুলিয়ার নবীনগর এলাকার বাসার ছাদে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তারে জড়িয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস'র দুই হাত পুড়ে যায়। পরে তার হাতের কবজিসহ কেটে ফেলতে হয়।

পুণ্ড্রকথা/জাআ/০১-০৬-২০২০