পুলিশী নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু

আমেরিকার ৪০টি শহরে বিক্ষোভঃ নিউইয়র্কের মেয়র কন্যা আটকের পর মুক্ত

মোর্শেদ টিটো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২০ ০৫:৫৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৮৩ বার।

পুলিশ নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লোয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমেরিকার মিনিসোটা রাজ্যে সৃষ্ট বিক্ষোভ এখন দেশটির ৪০টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলার মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে লুটপাটের ঘটনাও বেড়েছে। ফলে কোন কোন রাজ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে গত শনিবার রাতে নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও‘র কন্যা সিয়ারাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ‘ডেক্স এপিয়ারেন্স’ টিকিট দিয়ে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

আমেরিকার মেনিসোটা রাজ্যের মিনিপোলিস সিটিতে ‘টার্গেট’ নামক একটি স্টোর থেকে চুরি করা হয়েছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ মে ওই স্টোরে বাজার করতে আসা জর্জ ফ্লোয়েড (৪৬) নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে পার্কিং লট থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশ মাটিতে শুয়ে হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে রাখে।  এক পর্যায় ফ্লোয়েডের মৃত্যু হয়। 
পুলিশের বর্বরোচিত এই আচরণে মেনিসোটা রাজ্যের জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ঘটনার পরপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪ জন পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করা হয় বলে পুলিশ প্রশাসন থেকে প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা শুধু চাকুরিচ্যুত নয় তাকে গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করতে থাকে। 

বলা হচ্ছে, মেয়র কন্যা ম্যানহাটানের ১২ স্ট্রীট এবং ব্রডওয়ের উপর অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়। ফলে সেখানে যানজট সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে পুলিশ বার বার অনুরোধ করলেও তারা সরে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা শুরু করলে অনেকের সাথে মেয়র কন্যাও গ্রেফতার হন। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায় সিয়ারা পুলিশের কাছে তার পিতার পরিচয় দেয়া থেকে বিরত থাকেন।
গতকাল সারাদিন ধরেই ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের সামনে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস বিফিং চলাকালে রোজ গার্ডেনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করতে থাকে। প্রেস ব্রিফিং এ ট্রাম্প প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামানোর ইংগিত দেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে বিক্ষোভ চলছিল।