নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী)

বিএনপির সংসদ সদস্য পদ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:১৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬২ বার।

নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে বিএনপির সাংসদ পদ প্রার্থীর প্রচার কাজে বাধা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। 
সোমবার দুপুরে বিএনপি মনোনীত সাংসদ প্রার্থী পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির প্রার্থী পারভেজ আরেফিনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, গত রোববার রাতে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে উপজেলার রাইগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোজ্জাম্মেল হক শরিফুল ও সাধারণ সম্পাদক আলী মোর্তুজা বেলালকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এছাড়া নির্বাচন থেকে দূরে সরে রাখতে পুলিশ নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য গভীর রাতে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের অনেকেই গ্রেপ্তার-হয়রানি এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন।
আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য গত রোববার রাত ৩টার দিকে ওই ইউনিয়রে বয়েড়া গ্রামে বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙ্চুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। এছাড়া এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ওই গ্রামের বাসিন্দা বিএনপির কর্মী আতোয়ার রহমানের ধানের পালায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়টি আমরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে জানিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজ সোমবার পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নে আমাদের প্রার্থীর গণসংযোগ কর্মসূচি রয়েছে। এই কর্মসূচিকে বানচাল করার উদ্দেশ্যেই নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির প্রার্থী পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকীর অভিযোগ, ‘আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের প্রচারণায় বাধা দিয়ে যাচ্ছে। গত রোববার বিকেলে উপজেলার পাঠাকাঠা বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর সময় আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতাকর্মীরা। পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। দিনের বেলা ধানের শীষের পোস্টার টানালে রাতের বেলাই সেগুলো নাই হয়ে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। 
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে পূর্বের একটি মামলায় বিএনপির ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, পুলিশ তাঁর নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। কেউ অভিযুক্ত হলে পুলিশ তাঁকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করবেই। সেটি বিএনপির নেতাকর্মী আর যেই হোক। অযথা কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের মুঠোফোনে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। শুধু এই বিষয় নয়, প্রচার-প্রচারণার কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’