জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেলেন ৪ জন

বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২০ ১৪:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৬৫৫ বার।

বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোফাজ্জল হোসেন (৭২) ও শামসুল হক (৬৫) নামে দুই মুুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতাল ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তারা মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪জনের মৃত্যু হলো।

বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২১ মে প্রথম মারা যান সাবেক সাংসদ কামরুন্নাহার পুতুল। তারপর গত ৪জুন জহুরুল ইসলাম বাবু নামে অপর এক ব্যক্তি মারা যান।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক ডা. মতিউর রহমান জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন সম্প্রতি ঢাকা থেকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় তার গ্রামের বাড়িতে আসেন। এক পর্যায়ে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর গত ৩ জুন দুপুর ১২টার পরে তাকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরীরে জ্বর থাকায় পরদিন ৪ জুন পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্টে দেখা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাবতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রওনক জাহান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনকে শুক্রবার জুম’আর নামাজ শেষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে গার্ড অব অনার দিয়ে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। 
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সহকারি পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, শামসুল হক নামে এক মুক্তিযোদ্ধা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তাকে কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। করোনা উপসর্গ থাকায় ২ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরদিন ৩ জুন করোনা পজিটিভ আসলে তাকে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত মোহাম্মদ আলী হাপসাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে না গিয়ে শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় তার বাসায় চলে যান।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট নিয়ে ৫ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে দিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আসেন। ভর্তি করানোর পর চিকিৎসা চলাকালে দুপুর পৌণে ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক পেট্রোবাংলায় কর্মরত ছিলেন। গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলায়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে কুড়িগ্রামের চিলমারিতে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল চত্বরে তার লাশ জীবাণুমুক্ত করে জানাজা শেষে সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।