ঘুড়ির সুতা কেটে দেওয়া নিয়ে বিরোধ
বগুড়ায় সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে পাটকল শ্রমিক নিহত
শিবগঞ্জ উপজেলা (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার শিবগঞ্জে উড়ন্ত ঘুড়ির সুতা কেটে দেওয়ার মত তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে হৃদয় (১৫) নামে এক পাটকল শ্রমিক খুন হয়েছে। সোমবার বিকেল ৬টার দিকে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের পার আঁচলাই গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত হৃদয় ওই গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। সে বাড়ির পাশে পাইকড় জুটমিল নামে এক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ছিল।
হৃদয়ের হত্যাকাণ্ডে পিয়াস নামে তার যে সহকর্মীকে দায়ী করা হচ্ছে সে পলাতক। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবা ও মাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ছানোয়ার হোসেন জানান, হৃদয় ও পিয়াস দু’জনের বাড়ি একই গ্রামে এবং তারা পাশের একটি পাটকলে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। করোনা পরিস্থিতির কারণে কারখানা বন্ধ থাকায় তারা বাড়িতেই অবস্থান করছিল। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বর্ণনা মতে সোমবার বিকেলে হৃদয় বাড়ির পাশে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। বিকেল ৫টার দিকে পিয়াস হৃদয়ের কাছ থেকে উড়ন্ত ঘুড়ির নাটাই চেয়ে নেয়। এরপর সে সুতা কেটে দেয়। এতে হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে পিয়াসকে থাপ্পড় দেয়। এরপর ক্ষুব্ধ পিয়াস প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে হৃদয়ের ঘাড়ের বাম দিকে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় হৃদয় বাড়ির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে যায়। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে একটি রিকশা-ভ্যানে তুলে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
ওসি সানোয়ার হোসেন জানান, হৃদয় ও পিয়াসের মধ্যে আগেও অনেক মারামারি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, খবর পাওয়র পর ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর অভিযুক্ত পিয়াসকে না পেয়ে তার বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় এখ নপর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। অবশ্য প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি পলাতক পিয়াসকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।