রাফাল নিয়ে ভারতের দাবি উড়িয়ে দিলেন চীনা সেনাপ্রধান

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অগাস্ট ২০২০ ০৬:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৯৮ বার।

বুধবারই ভারতে এসে পৌঁছেছে পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। এর ফলে ভারতীয় বিমানবাহিনী শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। যথারীতি এই দাবি মানতে নারাজ চীন। তাদের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে দাবি করা হয়েছে, চীনের জে ২০ যুদ্ধবিমানের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না ভারতের রাফাল। 

ঝাং জিউফাং নামে এক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ভারতের হাতে থাকা সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমানের তুলনায় রাফাল অবশ্যই উন্নত প্রযুক্তির। কিন্তু আকাশে যুদ্ধের সময় কোনওভাবেই রাফাল চীনের ফোর্থ জেনারেশন জে ২০-র সামনে দাঁড়াতেই পারবে না। 

ভারতের প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধান বি এস ধানোয়া দাবি করেছিলেন, রাফাল আসায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর শক্তিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।চীনের জে ২০ রাফালের ধারেকাছে আসে না বলেও দাবি করেন তিনি।

রাফালকে ৪.৫ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান বলেও দাবি করেছিলেন ধানোয়া। ভারতের প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধানের এই দাবি খারিজ করে পাল্টা চীনা মুখপাত্র রাফালকে তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। 

যদিও ভারতের প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধান এখনও নিজের বক্তব্যেই অনড়। নিজেদের দাবি প্রমাণ করতে চীনকে পাল্টা দু'টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন ধানোয়া। 

তিনি প্রশ্ন করেন, জে ২০ যদি সত্যিই চীনা দাবি অনুযায়ী ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান হয়, তাহলে কেন এই যুদ্ধবিমানগুলিতে কানার্ড থাকে?

ধানোয়ার দাবি, আমেরিকার জে ২২, রাশিয়ার এসইউ ৫৭-এর মতো প্রকৃত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলিতে কানার্ড থাকে না।

বিমানের নিয়ন্ত্রণ উন্নত করার লক্ষ্যে মূল দু'টি ডানার সামনে যে ছোট ডানাগুলি থাকে, সেগুলিকেই কানার্ড বলা হয়৷ ধানোয়ার দাবি এই ধরনের কানার্ড বিমানে থাকলে তা সহজে প্রতিপক্ষের রাডারে ধরা পড়ে যায়।

প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধানের আরও প্রশ্ন, চীনের জে ২০ যুদ্ধবিমানগুলিতে কেন 'সুপারক্রজিং'-এর সুবিধা নেই? যে যু্দ্ধবিমানগুলি আফটারবার্নারের বা অতিরিক্ত জ্বালানি না পুড়িয়েই মাখ ১ বা শব্দের থেকেও বেশি গতিবেগ তুলতে সক্ষম, সেগুলিকে এই গোত্রে ফেলা হয়। 

ধানোয়ার দাবি, রাফালে এই সুবিধা রয়েছে এবং ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানগুলির রাডারও অন্যতম সেরা।