বড় মসজিদের খুৎবা: জাকাত দিলে সম্পদ পবিত্র হয় এবং পরিমাণেও বৃদ্ধি পায়

আমিনুর রহমান:
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০১৮ ১২:১৩ ।
আলোচনা
পঠিত হয়েছে ১০১৯ বার।

আজ ৮ জুন, ২২ রমজান।
বগুড়া কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের খতিব মাওলানা আজগর আলী আজ জুম’আর নামাজের আগে পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারার ৮২ এবং ৮৩ আয়াত তেলায়াওত এবং তার তরজমা করে বাংলা খুৎবা শুরু করেন। মূলত ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি জাকাত বিষয়ক আলোচনার জন্যই তিনি ওই দু’টি আয়াত তেলাওয়াত করেন। পরবর্তীতে তিনি সূরা মুমিনুন-এর কয়েকটি আদায়াতেরও উদ্ধৃতি দেন।

আসুন দেখে নিই সূরা বাকারার আলোচিত সেই দুই আয়াত ও তার বঙ্গানুবাদ-

আয়াত-৮২ (অর্থ): আর যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তারাই জান্নাতবাসী। তথায় তারা চিরকাল থাকবে।
আয়াত-৮৩ (অর্থ): আর যখন আমি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম বনী ঈসরাইল হতে যে, তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো ইবাদাত করবে না আর তোমরা সদয় ব্যবহার করবে বাপ, মা, আত্মীয়-স্বজন এতিম ও মিসকিনদের প্রতি এবং মানুষকে ভাল কথা বলবে, আর সালাত কায়েম করবে জাকাত দিবে। অতঃপর তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে অল্প সংখ্যক লোক ব্যতীত। বস্তুত তোমরাই উপেক্ষাকারী।

আলোচনার শুরুতে মাওলানা আলী আজগর বলেন, জাকাতের বিধান চালু হয়েছিল হিরজতের আগে। আর এর হিসাব পদ্ধতি চালু হয়েছিল হিজরতের পরে। তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনে যতবার সালাত বা নামাজ কায়েমের কথা এসেছে ততবারই জাকাত আদায়ের কথা বলা হয়েছে। সে কারণে নামাজের মত সামর্থবান ব্যক্তির জন্য জাকাতও ফরজ। তিনি বলেন, জাকাত দিলে সম্পদ এক দিকে যেমন পবিত্র হয় তেমনি আল্লাহ্্র রহমতে সম্পদের পরিমাণও বৃদ্ধি হয়। যে মানুষ তার পরিশ্রমের মাধ্যমে অজির্ত অর্থ থেকে যথাযথভাবে জাকাত আদায় করে তাকে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন জান্নাত বা বেহেশত নসিব করবেন। এপ্রসঙ্গে তিনি সূরা মু’মিনূন-এর প্রথম থেকে  ১১টি আয়াত তেলাওয়াত করেন।

আসুন সূরা মু’মিনূন-এর আলোচিত আয়াত ও তার অর্থ জেনে নিই-


আয়াত-১ (অর্থ):  মু’মিনরা অবশ্যই সফলকাম হয়েছে।
আয়াত-২ (অর্থ): যারা নিজেদের নামাজে বিনয়-বিনম্র
আয়াত-৩ (অর্থ): যারা অনর্থক কথা-বার্তা থেকে বিরত থাকে
আয়াত-৪ (অর্থ): যারা জাকাত প্রদানে সক্রিয়
আয়াত-৮ (অর্থ): এবং যারা সংরক্ষিত আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে
আয়াত-৯ (অর্থ): যারা নিজেদের নামাজে যত্নবান থাকে
আয়াত-১০ (অর্থ): তারাই পাবে উত্তরাধিকারী
আয়াত-১১ (অর্থ): তারা উত্তরাধিকারী হবে জান্নাতুল ফিরদাউসের, যাতে তারা চিরস্থায়ী থাকবে।

আলোচনার এক ফাঁকে মসজিদে উপস্থিত বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের চারপাশে যারা গরীব-দুখী, যারা আয়-রোজগার করতে পারে না। যারা অসুস্থ, তাদের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে।