আত্রাইয়ে সৌখিন কবুতর প্রেমী মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী শরিফুল ইসলাম

রানীনগর( নওগাঁ ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ অগাস্ট ২০২০ ১২:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৬ বার।

 শান্তির প্রতীক কবুতর। বর্তমানে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে কবুতর প্রতিপালন করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ শখের বশে কবুতর পালন করে থাকেন। এমনই একজন নওগাঁর আত্রাইয়ে কবুতর প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সৌখিন কবুতর প্রেমী এক মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী শরিফুল ইসলাম। তিনি ৫ ওয়াক্ত আযান ও নামাজের পর অবসর সময় পার করতে এবং বাড়তি আয় করে স্বাবলম্বী হতে গড়ে তুলেছেন দেশী-বিদেশী বাহারী রকমারি কবুতরের ফারাম। কবুতর তার খুব প্রিয়, তাই তার কবুতর প্রীতিতে বিড়ল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
 

জানা যায়, উপজেলার মালিপুকুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের চকদৌলত গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। প্রায় বছর দেড়েক আগে তিনি এ মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মে যোগদান করেন। ৫ ওয়াক্ত নামাজের আযান ও নামাজের পর অবসর সময় অতিবাহিত করতে অনেকটা সখ করেই প্রথমে কয়েকটি কবুতর কিনে পালতে শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে কবুতরের প্রতি তার আসক্ততা বেড়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেশী-বিদেশী রকমারী কবুতর সংগহ্র শুরু করেন। এক পর্যায় গড়ে তুলেন দেশী-বিদেশী কবুতর ফারাম। বর্তমানে তার ফারামে সিরাজী, মক্কী, লাটকা, ময়ূরী, গীরিবাজ, বোখারাসহ দেশি-বিদেশী প্রায় ১০০ জোড়া কবুতর রয়েছে। মূল্যবান এসব কবুতর তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছেন। 
 

মুয়াজ্জিন ক্বারী শরিফুল ইসলাম জানান, কবুতরের প্রতি আমার অগাধ ভালবাসা জন্মেছে। কবুতর প্রতিপালন করে একদিকে আমার সময় কাটে, অপর দিকে আর্থিক আয়ও হয়। আমার খামারে যেসব কবুতর রয়েছে তার সবগুলোই দর্শনীয় এবং উচ্চ মূল্যের। বর্তমান বাজারে সিরাজী ২হাজার ৫০০ টাকা জোড়া, মক্কী ২হাজার ৫০০ টাকা জোড়া, লাটকা, ২,০০০ টাকা জোড়া ময়ূরী ২ হাজার ২০০ টাকা জোড়া, গীরিবাজ ইন্ডিয়ান ১হাজার ২০০ টাকা জোড়া, গীরিবাজ দুবাই ১হাজার ৭০০ টাকা জোড়া, এবং বোখারা ৩,০০০ টাকা জোড়া ক্রয় বিক্রয় হয়। আমার এ কবুতর ফারাম থেকে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়।
 

মসজিদের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের মুয়াজ্জিন সাহেব খুব কর্মপরায়ন। আমরা মসজিদ থেকে যে হাদিয়া দেই তা অপ্রতুল। এর সাথে তিনি কবুতর ফারাম করে বাড়তি আয় করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। এটা সকলের জন্যই দিকনির্দেশনা মূলক। সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ ইমামতি ও মুয়াজ্জিনীর পাশাপাশি অন্য কোন পেশায় সম্পৃক্ত হতে পারলে তারাও সমাজে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।