নওগাঁয় ভুল করে পাইলস রোগীর পিত্তথলী অপারেশন: প্রাণ নিয়ে আশংকা

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ অগাস্ট ২০২০ ১৩:৫১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৮৫ বার।

নওগাঁ শহরের প্রাইম ল্যাব এন্ড জেনারেল হাসপাতালে আসমা খাতনু (২৫) নামে এক পাইলস রোগীর ভুল করে পিত্তথলী অপারেশান করা হয়েছে। পিত্তথলতি কোন পাথর না পেয়ে প্রায় ৪ ঘন্টা পর আবার পাইলস অপারেশন করা হয়েছে। একই রোগী দুই দফায় শল্য চিকিৎসা করায় এখন ওই রোগী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। মূমূর্ষ অবস্থায় ওই রোগী ক্লিনিকের বেডে শায়িত থাকলেও তার সঠিক চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে না বলে রোগীর পরিবারের অভিযোগ। বর্তমানে ওই রোগীর পরিবারের সদস্যরা তার বেঁচে থাকা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন। বুধবার বিকেলে রোগীর বড় ভাই আতোয়ার রহমান প্রেসক্লাবের এসে সাংবাদিকদের নিকট এই অবিযোগ করেন।
জানা গেছে জেলার বদলগাছী উপজেলার কাষ্টডোব গ্রামের হাবিবুর রহমানের কন্যা আছমা খাতুন পাইলস অপারেশনের জন্য গত মঙ্গলবার সকালে ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। ওই দিন দুপুর ১টার দিকে নওগাঁ সদর হাসপাতালের সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ মুক্তার হোসেন  ও একই হাসপাতালের অজ্ঞান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং প্রাইম ল্যাব ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডাঃ ইসকেন্দার হোসেন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন। এসময় অপারেশান থিয়েটারে ৩ জন পিত্তথলীতে পাথরের রোগী ও আসমা খাতুন পাইলস এর রোগীর অপারেশন করার কথা। কিন্তু ওই চিকিৎসক আছমা খাতুনের পিত্তথলীতে পাথরের জন্য অপারেশান কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় আসমা খাতুন বাধা দিলেও ডাক্তার কোন কথা না শোনে তাকে অজ্ঞান করে কেটে দেখে পিত্তথলীতে পাথর নাই। পরে সেলাই করে ৬ তলার ১৫ নং কেবিনের বেডে রাখে। পরে ওই ৩ রোগীর পিত্তথলীর অপারেশান করার পর আবার আছমা খাতুনকে পুনরায় পাইলস অপারেশান করে। একই রোগী দুটি অপারেশান করায় বর্তমানে ওই রোগী জীবন-মুত্যুর সন্ধিক্ষনে। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ক্লিনিকের মালিক ইসকেন্দার ও সার্জেন্ট ডাঃ মুক্তার হোসেন ক্লিনিক থেকে সটকে পড়েন।
আসমা খাতুনের বড় ভাই অভিযোগ করে বলেন আমার বোন পাইলসের রোগী বলার পরও তারা জোর করে আমার বোনকে পিত্তথলী অপারেশন করে। মাত্র তিন ঘন্টার ব্যবধানে তারা আবার দ্বিতীয় দফায় পাইলস অপারেশন করে। আমার বোনের অবস্থা ভাল না। রোগীর বেডে ফেলে রাখা হয়েছে । ভাল কোন চিকিৎসা করছে না তারা। ক্লিনিকের লোকজনকে বললে তারা বলছেন অজ্ঞান করার কারনে রোগী এরকম হবেই। চিন্তার কিছু নেই।
এব্যাপারে সার্জেন্ট মুক্তার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি। এদিকে ক্লিনিক মালিক ডাঃ এসকেন্দার হোসেন বলেন রোগীর সঠিক নিয়মেই চিকিৎসা করা হয়েছে। তার সুচিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ আখতারুজ্জামান আলালের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।