বগুড়ায় অন্ত:সত্বা স্ত্রীর হাত মুখ বেঁধে কবর খুঁড়ে হত্যার চেষ্টা: স্বামী আটক

আদমদীঘি(বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ অগাস্ট ২০২০ ১৪:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৪৪ বার।

বগুড়ার আদমদীঘিতে ৯ মাসের অন্ত:সত্বা স্ত্রীর হাত পা ও মুখ বেঁধে মধ্যযুগিয় কায়দায় মারপিট করে ঘরের বারান্দায় কবর খুড়ে পুঁতে হত্যার চেষ্টা করার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিবেশিরা গৃহবধু ফাল্গুনিকে উদ্ধার ও তার পাষন্ড স্বামী নাইককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। বুধবার বিকেল ৩টায় আদমদীঘির নামা পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, ২০১৫ সালে আদমদীঘির নামাপাইকপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাইম, নওগাঁর এনায়েতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাল্গুনিকে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ফাল্গুনিকে স্ত্রী হিসাবে পছন্দ না হওয়ায় স্বামী নাইম ও স্বাশুড়ি রেহেনা প্রায় ফাল্গুনিকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এরমধ্যে ২ বছর বয়সের একটি সন্তান রয়েছে। ফাল্গুনি বর্তমানে পুনরায় ৯ মাসের অন্ত:সত্বা। বুধবার বিকেলে স্ত্রী ফাল্গুনি পাশের তার চাচী স্বাশুড়ির বাড়িতে যায়। কেন ওই বাড়িতে গেল। এ নিয়ে স্বামী স্বাশুড়ি ও স্ত্রী মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্বামী নাইম ৯ মাসের অন্ত:সত্বা স্ত্রী ফাল্গুনিকে ঘরে আটক করে হাত পা ও মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে। এরপর হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ঘরের বারান্দায় মাটি কেটে কবর খুঁরে তৈরী করার সময় ফাল্গুনি কৌশলে হাত ও মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এস ঘরের জানালা ভেঙ্গে ফাল্গুনিকে উদ্ধার ও নাইকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। ফাল্গুনির বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ে ফাল্গুনিকে নির্যাতন করতো জামাই। এ ব্যাপারে কয়েক দফায় গ্রাম্যসালিশও হয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।