আদমদীঘিতে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না সিএনজি ও অটোচার্জার চালকরা

আদমদীঘি(বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অগাস্ট ২০২০ ১৪:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৯ বার।

করোনাভাইরাস সংক্রমনে দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্পপরিসরে যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচলের সরকারি নির্দেশ থাকলেও বগুড়ার আদমদীঘি ও সান্তাহার এলাকার সিএনজি ও অটোচার্জার (টমমটম) চালকরা সেই নির্দেশ মানছেন না। প্রতিটি সিএনজিতে গাদাগাদি করে ৫জন ও অটোচার্জারে ৮/১০জন করে যাত্রী বহন করছেন। এছাড়া প্রতিটি যাত্রীর নিকট থেকে অতিরিক্ত হারে ভাড়াও আদায় করছেন অহরন। ফলে নিরুপায় যাত্রী সাধারন গাদাগাদি করে আসনে বসছেন ও অতিরিক্ত হারে ভাড়াও দিচ্ছেন বাধ্য হয়ে। কোন যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলে সেই যাত্রীকেই উল্টো হুমকিসহ মানহানিকর কথা শুনতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমনের কারনে জনসাধরনকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ ছিল। সরকার যানবাহন চলাচলে কিছুটা ভাড়া বৃদ্ধি করে সামাজিক দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী বহনে বিধিনিষেধ আরোপ করেন। সরকারি এই নির্দেশের পর বেশ কিছুদিন আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, চাঁপাপুর, মুরইল, কৃন্দগ্রাম, ছাতিয়ানগ্রামসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারি সিএনজি গুলোতে তিনজন যাত্রী ও অটোচার্জাার (টমটম) গুলোতে ৫জন যাত্রী বহন ও দ্বিগুন হারে ভাড়া আদায় করছিল। এতে যাত্রী সাধারনের ভাড়া বেশি লাগলেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই চলাচল করছিল। গত ঈদুল ফিতরের আগে থেকে এসব রুটে সিএনজি ও অটোচার্জার চালকরা অধিক অর্থের লোভে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিটি সিএনজিতে ৫জন ও অটোচার্জার গুলোতে ৮ থেকে ১০জন যাত্রী বহন করছেন। ভাড়াও আদায় করছেন প্রায় দ্বিগুন হারে। সরকারি ভাবে এসব যানবাহনে নজরদারি না থাকায় তারা সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই যাত্রী বহন ও অবাধে দ্বিগুন ভাড়া আদায় অব্যাহত রেখেছেন। আদমদীঘি সিএনজির লাইনম্যান রেজাউল ইসলাম জানান, স্ট্যান্ড থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি সিএনজিতে ৪জন যাত্রী তুলে দেয়া হচ্ছে। সিএনজি সমিতির সাধারন সম্পাদক শাহিনুর রহমান মন্টি জানান, প্রতিটি সিএনজি ও অটোচার্জার চালককে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক না পড়া কোন যাত্রী যাতে বহন ও ভাড়া বেশি আদায় করতে না পারে তার সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ সাংবাদিকদের জানান, সকল যানবাহনকে সরকারি বিধি মেনে চলতে ভ্রাম্যমান আদালত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।