বিএনপি অফিস থেকে ককটেল উদ্ধার : নৌকার কার্যালয়ের অগ্নিসংযোগ

ধুনটে ধানের শীষের ১৮০নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা : একজন গ্রেপ্তার

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:২৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৭৬ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পৃথক দু’টি মামলায় ১৮০জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। বুধবার ধুনট থানায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়। এছাড়া পুলিশ এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।

জানা যায়, মথুরাপুর বাজারে বিএনপি নেতা নিক্সনের গুদাম ঘরে ধানের শীষের নির্বাচনী কার্যালয় করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় ধুনট থানা পুলিশ ওই কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ভিতরে তল্লাসী চালায়। পরে তারা ওই কার্যালয় থেকে একটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার খবর দেন সাংবাদিকদের। এ ঘটনায় মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধানের শীষের কর্মী ডা. শাহজালালকে প্রধান আসামী করে ৩৬জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ২০/২৫জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। 

অপরদিকে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদকে প্রধান আসামী করে ৭৯জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩০/৪০জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ী গ্রামে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে আসামীরা। 

এদিকে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব ওরফে সোহেলকে (৪৫) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৭টায় ভান্ডারবাড়ী বাজারের তাঁর ঔষধের দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের গোলাম মান্নানের ছেলে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি গোসাইবাড়ীতে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে ১৬জন বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৪৬জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় বিএনপি নেতা সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধুনটে বিভিন্ন ঘটনার নাটক সাজিয়ে ধানের শীষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে তল্লাসী চালাচ্ছে পুলিশ। প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 
 
ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, বিএনপি অফিস থেকে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় ৬১জন এবং নৌকার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১১৯জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহার তদন্ত এবং আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।