ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে সতর্ক থাকবেন যেভাবে
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকৃতিতে এখন শীত কার চলছে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় অনেকেই সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হন। কেউ কেউ ঠাণ্ডা লাগলেই সারাদিন জ্বর জ্বর অনুভব করেন। তবে জ্বর জ্বর লাগলেই সেটা ইনফ্লুয়েঞ্জা, এমনটা নাও হতে পারে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্দি-কাশির জন্য দায়ী রাইনো ভাইরাস৷ চিকিৎসকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টাইপ এ ও বি ভাইরাসের সংক্রমণ হলেই তাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা বলা যায়৷
ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গের মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় সব সময় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা না-ও হতে পারে। অনেক সময় ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় প্যারাসিটামলও দেন চিকিৎসকরা। এ ক্ষেত্রে ওষুধের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণে ফুসফুসে সংক্রমণের ফলে অনেকসময় মৃত্যু ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অনেক ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের পেশিতেও সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের ডায়াবেটিস, হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তারা যদি জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশিতে আক্রান্ত হল তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ইনফ্লুয়েঞ্জা এড়াতে যা করবেন-
১. ধুলো-বালি এড়িয়ে চলুন।
২. হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করুন। সর্দি-কাশি হলে অন্যদের ব্যবহার করা জিনিস (যেমন, গামছা, তোয়ালে ইত্যাদি) ব্যবহার করবেন না।
৩. বেশি করে পানি পান করুন।
৪. সবুজ শাক-সবজি আর প্রচুর ফল খান।
৫. দিনের বেশিরভাগ সময় রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি-কাশি থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। খবর সমকাল অনলাইন