নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনঃ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ

নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই) আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রেজাউল ইসলাম রেজুর নেতাকর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা মারধর ও হুমকি-ধামকির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার নওগাঁ শহরের কেডির মোড় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান।

জেলা বিএনপির আহবায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে বৃহস্পতিবার সকালে রানীনগর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই এই সভায় অংশগ্রহনে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের বাধা প্রদান করা হচ্ছিল। এসময় উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি দল দফায় দফায় হামলা চালায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন,বিএনপি নেতা শেখ মনোয়ার হোসেনসহ বিএনপির ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া নির্বাচনের মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিতে তারা প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের অব্যাহত ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে হামলা,হুমকি-ধামকি বন্ধ করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।

এসময় ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-৬ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ রেজাউল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ ও এ্যাডঃ এজেড এম রফিকুল আলম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান বেলাল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপনসহ রানীনগর উপজেলা বিএনপির প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল হামলা ও হুমকি-ধামকির অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন উল্টো বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের  উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায়  ফখরুল ইসলাম নামে একজনসহ ১০/১৫ জন কর্মী আহত হয়। নির্বাচনী এলাকার শান্ত পরিবেশ নষ্ট করার জন্য তারা নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল হক জানান, বৃহস্পতিবার বিএনপির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে উপজেলা সদরে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।