শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আবারও বাড়ছে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৪৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০৬ বার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আবারও বাড়ানো হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় সূত্রে জানায়, ৩ অক্টোবরের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও অন্তত ১৫ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে নতুন করে কতদিন ছুটি বাড়ানো হবে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত নেবে। চলতি সপ্তাহেই ছুটির বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আসতে পারে। খবর সমকাল অনলাইন 

করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে অন্তত সাত দফা ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সারাদেশের কওমী মাদ্রাসা ছাড়া বাকি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর আগেই ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোনো ধরণের ঝুঁকির মধ্যে না ফেলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও ভিত্তিহীন সংবাদ ও চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিতে আগামী বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওই সংবাদ সম্মেলনেও নতুন ছুটির ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। কেউ কেউ মনে করছেন, সব মিলিয়ে অক্টোবর মাসে পুরোটা জুড়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন সমকালকে বলেন, এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা মতো পরিস্থিতি দেশে সৃষ্টি হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারো বন্ধ রাখা হবে কিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে তা ঠিক করা হবে।

এর আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কতদিন বাড়ানো হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছুটি বাড়ানো হবে। আগামী ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে শতভাগ করোনামুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। তাই শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কতটা সফলতা আসছে সে বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু সোমবার সমকালকে বলেন, কোমলমতি সন্তানদের জীবনের প্রশ্নে কোনো ঝুঁকি নেওয়া চলে না। সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে, ১৭ মার্চের আগে যে পরিস্থিতি ছিল, সে রকম পরিস্থিতি না হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন না খোলা হয়।