আইসিসিইউতে জ্ঞান ফেরার পরই বিয়ার-সিগারেট চাইলেন রোগী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯ ০৭:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৪ বার।

প্লেনে এক যাত্রী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর দ্রুত প্লেনটি কাছের বিমানবন্দরে অবতরণ করেন পাইলট। এরপর ওই যাত্রীকে হাসপাতালের আইসিসিইউ'তে নিয়ে চলে চিকিৎসা। রোগীকে বাঁচাতে চিকিৎসকেরা প্রানান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু জ্ঞান ফেরার পর রোগী প্রথমেই যা চান তা শুনে ভড়কে যেতে পারেন আপনি।

প্রথমেই তিনি বিয়ার ও সিগারেট খেতে চান। কিন্তু তাকে বোঝানো হয় যে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোনো রোগীকে বিয়ার বা সিগারেট দেওয়া সম্ভব নয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

থাইল্যান্ডে ফরাসি দূতাবাসের কর্মকর্তা শমেট দিদিয়ার ইস্তানবুল থেকে ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। তুরস্কের প্লেনটি যখন মাঝআকাশে কলকাতার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর আওতায় তখন পাইলট জানান, শমেট অজ্ঞান হয়ে গেছেন। এরপর ৫৯ বছর বয়সী এই ফরাসি নাগরিককে নিয়ে পাইলট প্লেনটি কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন।

 বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে কাছের চার্নক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় শমেটের অবস্থা এতো খারাপ ছিল যে, তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন চিকিৎসকেরা। সে কারণে হাসপাতালের পক্ষ থেকে দ্রুত কলকাতায় ফরাসি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শমেটের শারীরিক অবস্থা একটু ভালো হলে তাকে বাই-প্যাপ দেওয়া হয়। জানা যায়, আগে থেকেই হাইপারটেনশন ছিল তার। রক্তচাপও ছিল বেশি।

আইসিসিইউ-তে জ্ঞান ফেরার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন শমেট। তখনই বিয়ার ও সিগারেটের জন্য আবদার জুড়ে দেন। এ সময় তাকে বোঝানো হয়।  একই সঙ্গে আইসিসিইউ থেকে তিনি সরাসরি বাড়ি চলে যেতে চান। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে শমেটকে আলাদা কেবিনে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর অবশ্য মত বদলে হাসপাতালে আরও ১০ দিন থেকে যাওয়ার কথা জানান তিনি। 

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসকেরা যখন মনে করবেন, হাসপাতাল থেকে তখনই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। ফোনে তিনি ফ্রান্সে এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ কলকাতায় এসে পৌঁছননি।