শিক্ষকতার প্রতি পদের জন্য ৭৮ আবেদন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯ ০৭:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬৮ বার।

সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে প্রায় ৩১ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। সে হিসেবে প্রতি পদের জন্য প্রায় ৭৮টি আবেদন করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণরা। এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। আর সুপারিশকৃতদের প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগপত্র দেয়া হবে। ২ জানুয়ারি আবেদনের শেষ দিন সন্ধ্যায়   এ তথ্য জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের  (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা। 

এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৫ লাখ আবেদন হলেও  বুধবার আবেদনের শেষ দিনে বিকেল পর্যন্ত আরও ৬ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। মোট আবেদন পড়েছে ৩১ লাখ। তবে এদের মধ্যে সবাই টাকা জমা দেননি। বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করে পরবর্তী ৭২ ঘন্টা টাকা জামা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

 অনুসন্ধানে জানা যায়, এনটিআরসিএর পদ্ধতিগত দূর্বলতার জন্য একজন প্রার্থীকে একটি চাকরির জন্য কয়েকডজন আবেদন করতে হয়েছে। প্রতিটি আবেদনে কমপক্ষে ১৮০ টাকা খরচ হওয়ায় আবেদনকারীরা  দৈনিক শিক্ষার কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। টাকার পরিমাণ কমানোর জন্য তারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ৩১ লাখ আবেদন জমা নিয়ে কর্তৃপক্ষের প্রায় ৫৬ কোটি টাকা আয় করবে।  

বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছ এনটিআরসিএ। ৪০ হাজার পদের সবগুলোই এমপিওভুক্ত নয়। ননএমপিও পদও রয়েছে। গত ১২ জুন যাদের বয়স ৩৫ অথবা তার কম এবং জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য শর্ত পূরণ করবে শুধু তারাই আবেদন করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন করা শুরু করেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। আজ ২ জানুয়ারি আবেদনের শেষ দিন। যদিও সারাদেশ থেকে শত শত প্রার্থী দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন যে, নানা জটিলতায় তারা আবেদন করতে পারছেন না। তবে, আবেদনের সময় বাড়ানো হবেনা বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ সূত্র।

তবে, নুতন বছরে নিবন্ধন প্রত্যাশী ও নিয়োগপ্রত্যাশী উভয়দের জন্য সুখবরের ব্যবস্থা করবে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএ সূত্র  এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে সারাদেশের সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্য পদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশনা দেয় এনটিআরসিএ। প্রথম দফায় সব শূন্য পদের তালিকা না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় তালিকা পাঠানোর সময় শেষ হয়।