নোয়াখালীর লংমার্চ থেকে রাজপথ অবরোধের ঘোষণা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ১৪:২৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫০ বার।

ঢাকা থেকে নোয়াখালী ধর্ষণবিরোধী লংমার্চের কর্মসূচি শেষে দুই দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন লংমার্চে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতারা।

নোয়াখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশ শেষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিতে সোমবার সারা দেশে সব জেলা পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং বুধবার রাজপথ অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে হরতাল-অবরোধের মতো বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুমকি দেন সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা।

এর আগে লংমার্চটি ফেনী শহর হয়ে নোয়াখালী আসার পথে দফায় দফায় হামলার শিকার হয়। ফেনী শহরে শান্তিপাড়া এলাকায় প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হলে ফেনী শহরের মিশন হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা আবারও হামলা চালায়। পথে ফেনী জেলার দাগনভুঞা উপজেলা অতিক্রম করার সময় আবারও লংমার্চে হামলা করে দুর্বৃত্তরা।

এরপর লংমার্চটি চৌমুহনী পৌঁছলে আহত ১৬ জনকে চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এবং ১১ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দফায় দফায় হামলার কারণে নেতারা বেগমগঞ্জের একলাশপুরে জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ওই নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করেন। পরে নোয়াখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা অভিযোগ করে বলেন, লংমার্চে মানুষের ঢল দেখে ক্ষমতাসীনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করে দু’শতাধিক অংশগ্রহণকারীকে আহত করেছে বলে দাবি করেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, এ সরকার ধর্ষকদের লালন করে আসছে। যারা ধর্ষকদের লালন-পালন করছে তাদের বিচার করতে হবে। শান্তিপূর্ণ লংমার্চে ফেনীসহ চার স্থানে সরকারের ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। আমাদের কত আর মারবেন? এ দেশের তরুণরা লড়াই করে যাবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান শেখ বলেন, আহতরা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন।