বগুড়ার প্রবীণ চিকিৎসক পলাশ ক্লিনিকের কর্ণধার হেদায়েতুল ইসলাম আর নেই

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারী ২০১৯ ১১:২১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৮ বার।

বগুড়ার প্রবীণ চিকিৎসক পলাশ ক্লিনিকের কর্ণধার ডা. হেদায়েতুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। স্বজনরা জানিয়েছেন, ডা. হেদায়েতুল ইসলাম নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভূগছিলেন। কিছুদিন আগে  তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখাইে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল পৌণে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে একই দিনে তার একমাত্র সন্তান পলাশেরও মৃত্যু হয়েছিল।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুম ডা. হেদায়েতুল ইসলামের সহধর্মিনী সামসুন নাহার ইসলাম শেফালীও একজন চিকিৎসক।
জীবন-বৃত্তান্ত
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের পাঁচতলী গ্রামের বাসিন্দা হেদায়েতুল ইসলাম ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করার পর তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিএসএস ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বগুড়ার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ মোশাররফ হোসেন মণ্ডলের জেষ্ঠ্য কন্যা ডা. সামসুন নাহার ইসলাম শেফালীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। চার বছরের মাথায় ১৯৬৮ সালে তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। নাম দেওয়া হয় পলাশ। কিন্তু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৯ মাস বয়সে ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। ডা. হেদায়েতুল ইসলাম ছেলে পলাশের নামে গ্রামে ‘পলাশ মেমোরিয়াল স্কুল’ নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া ছেলের নামে ১৯৭২ সালে শ্বশুড় বাড়ি বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ায় ‘পলাশ ক্লিনিক’ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালও প্রতিষ্ঠা করেন।
ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বগুড়া শাহ্্ সুলতান চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) বগুড়া জেলা শাখায় তিনি একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রবীণ হিতৈষী ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের বগুড়া জেলা শাখারও সভাপতি ছিলেন। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ডা. হেদায়েতুল ইসরাম বগুড়া ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন।
শনিবার দুুপুরে জেলার শেরপুরে বিশালপুরে মরহুমের গ্রামের বাড়িতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ মাগরিব শহরে করনেশন স্কুল ও কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নামাগজগড় গোরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।