চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আশরাফ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯ ১২:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬২ বার।

চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। রোববার বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

 

এর আগে ময়মনসিংহে তার তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার আগে তাকে গার্ড অব অনারের মধ্যদিয়ে সম্মান জানানো হয়। এছাড়াও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সৈয়দ আশরাফের দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় লাখো লোকের ঢল নেমেছিল।

তার আগে সকাল সাড়ে দশটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথমে সৈয়দ আশরাফকে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয়। এরপর সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং তারপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা আবারও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর একের পর এক বিভিন্ন সংগঠন ও উপস্থিত সাধারণ মানুষ ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের এই নেতার প্রতি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে মারা যান।

সৈয়দ আশরাফের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায় শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়। উড়োজাহাজ থেকে নামানোর পর মরদেহ গ্রহণ করেন তার ভাই সাফায়েত উল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতারা।

বিমানবন্দরেই এই মুক্তিযোদ্ধার কফিন ঢেকে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকায়। সেখান থেকে আশরাফের মরদেহবাহী গাড়ি রওনা হয় বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবনের উদ্দেশে। রাতে আশরাফের মরদেহ বেইলি রোডের বাসা থেকে নিয়ে রাখা হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে।

৬৭ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দীর্ঘ কয়েক মাস সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় তার। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ নৌকার প্রার্থী হয়ে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। খবর পূর্ব পশ্চিম বিডি