বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো দুর্গাপূজা

অরুপ রতন শীল
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২০ ১২:২৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৬১ বার।

বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচদিনব্যাপী দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে। চণ্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে ২২ অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুরু হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী এবার এসেছেন দোলায়, গেছেন গজে চড়ে। 

এ বছর জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে বগুড়া সদরে ১১৫টি, শাজাহানপুরে ৫৪টি, শিবগঞ্জে ৫৪টি, সোনাতলায় ৩৬টি, সারিয়াকান্দিতে ২০টি, ধুনটে ৩২টি, গাবতলীতে ৬০টি, শেরপুরে ৮০টি, নন্দীগ্রামে ৪৩টি, কাহালুতে ৩৮টি, আদমদীঘিতে ৬০টি এবং দুপচাঁচিয়ায় ৩৯টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

যদিও করোনা মহামারীর সংক্রমণ এড়াতে এবারের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে শুধু ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

 

বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সরেজমিনে দেখা যায়, বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল সীমিত আকারে। সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় পূজামণ্ডপ। কিন্তু বিভিন্ন মন্ডপ রাতেও ছিলো জাঁকজমকপূর্ণ। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা এবার ছিল না। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়। 

বগুড়া পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, এবার শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে দুর্গাপূজা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পূজা উদযাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। 

তিনি সবার পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করায় জেলা প্রশাসন, সকল রাজনৈতিক দল, ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন