শুরুতেই বিভিন্ন সমালোচনার মুখে বিপিএল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯ ১৪:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৭ বার।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের দ্বিতীয় দিন মাঠে গড়িয়েছে রোববার। কিন্তু শুরুর দিন থেকেই সমালোচনায় পড়েছে এবারের আসর। এমনিতে আগের আসরেও ছিল নানান অভিযোগ। কিন্তু এবার তার কিছু কিছুর সমাধান দেওয়ার কথা বলে বিপিএল কতৃপক্ষ। কিন্তু উল্টো বিভিন্ন কারণে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে এবারের আসর। 

বিতর্কিত আউট হয়ে ফিরে যান স্মিথ। ছবি: টুইটার

খালিদের বয়স ১১৯: সদ্য বাংলাদেশ টেস্ট দলে অভিষেক হয়েছে খালিদ আহমেদের। দীর্ঘদেহি এই পেসার বাংলাদেশ দলের হয়ে শুরুতেই নজরও কেড়েছেন। বিপিএলে তার দল চিটাগং ভাইকিংস। দলের শুরুই ম্যাচেই একাদশে ছিলেন তিনি। কিন্তু ডানহাতি এই পেসার বল করার সময় তার নামের পাশে বয়স লেখা ছিল ১১৯ বছর। কিন্তু তার বয়স ২৬ বছর। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শকদের মজার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। 

টিভি পর্দায় খালিদের বয়স দেখানো হয় ১১৯ বছর। 

ডিআরএসে নেই স্নিকোমিটার: বিপিএলকে আরও বেশি নিঁখুত করতে এবার সংযুক্ত করা হয়েছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। আগের আসরগুলোতে আম্পায়ারিং ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এবার ডিআরএস। কিন্তু ষষ্ঠ আসরের দ্বিতীয় দিনেই আম্পারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। আর সেই প্রশ্ন উসকে দিয়েছে ডিআরএস। কারণ ডিআরএস থাকলেও নেই স্নিকোমিটার বা হটস্পট। তাই সিদ্ধান্ত নিতে থার্ড আম্পায়ারকে চোখ এবং ব্যাটে বল লেগেছে কিনা তা কানে শুনেই নিতে হচ্ছে সিদ্ধান্ত। স্টিভ স্মিথও সেই ভুলেই আউট হয়েছেন। ওয়ার্নারের আউট নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।  

স্নিকোমিটার না থাকায় বিতর্কে বিপিএল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা। ছবি: ফেসবুক-টুইটার থেকে সংগৃহিত।

এলইডি স্ট্যাম্প: ক্রিকেটে এলইডি স্ট্যাম্প আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছে। রান আউটের ক্ষেত্রে এটি খুব কাজে দেয়। বল স্ট্যাম্পে লাগার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠে স্ট্যাম্প। তা দেখে আম্পায়ার দ্রুত এবং নিঁখুতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এবারের বিপিএলে এটির সংযোজন হবে বলে বলা হয়। কিন্তু মাঠে তার প্রয়োগ দেখা যায়নি। 

ধারাভাষ্য নিয়ে বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া। 

বাংলা ধারাভাষ্য: বিপিএলে এবার টিভির সৌজন্যে বাংলা ধারাভাষ্য শোনা যাচ্ছে। শুরুতে এটাকে ইতিবাচকভাবেই নেওয়া হয়েছিল। কারণ সকল ধরণের দর্শকদের জন্য উপযোগী নিজ ভাষায় ধারাভাষ্য। আইপিএলেও অনেক চ্যানেল এটি করে থাকে। বাংলা, হিন্দিতে শোনা যায় ধারাভাষ্য। কিন্তু বিপিএলে সেই ধারাবিবরণী হাসির ব্যাপার হয়েছে। ধারাভাষ্যকাররা ক্রিকেটারদের নাম ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে টিভি দর্শকদের।