শীত বাড়ায় রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ

শেরপুরে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারী ২০১৯ ১২:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৭১ বার।

বগুড়ার শেরপুরে শীত জেঁকে বসেছে। এই কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। মৌসুমের শুরুতে তেমন শীত অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো জড়সড় হয়ে পড়েছেন। তাঁরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন। সামর্থবানরা ঘরে অবস্থান করতে পারলেও ওইসব গীরব ছিন্নমূল মানুষের পক্ষে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। দু’মুঠো অন্নের জন্য তাঁদের ছুটতে হচ্ছে কাজের সন্ধানে। জীবন ধারণের জন্য প্রচ- শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলতে হচ্ছে তাঁদের। শীতের কারণে শহরের ফুটপাত ও হকার্সসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। তবে শীতকে পুঁজি করে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা পোশাকের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েকগুন। তাই অনেক শীতার্ত মানুষদেরকে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। এছাড়া শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চারদিকে শীতজনিত রোগবালাই ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা এই শীতজনিত রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে দিন গড়িয়ে রাত পেরোনোর পর ক্রমেই বাড়তে থাকে কুয়াশা। একইসঙ্গে বইতে শুরু করে হিমেল হাওয়া। কুয়াশার দাপটে সকালে মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ীর চালক গতি নিয়ন্ত্রণে এনে ধীরে ধীরে চলতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে সময়মত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না-এমনটাই জানালেন ট্রাক চালক আজগর আলী, রাজু আহমেদ, আব্দুল মোমিনসহ একাধিক যানবাহনের চালক। তারা জানান, দিন যত যাচ্ছে কুয়াশার দাপট ততই বাড়ছে। সন্ধ্যার পর সড়ক-মহাসড়ক ধরে উত্তরের জেলা শহরগুলোতে যেতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। ফাঁকা স্থানগুলোয় কুয়াশার দাপটে গাড়ি টানাই যায় না। চারদিক থেকে কুয়াশা চেপে আসায় যেন কিছুই চোখে পড়তে চায় না। তখন গাড়ি থামিয়ে গ্লাসে পানি মাড়তে হয়। এরপর যাত্রা শুরু করতে হয় বলে এসব চালকরা জানান। রিকসা চালক শাজাহান আলী জানান, গত কয়েকদিন ধরে প্রচ- শীত পড়েছে। মনে হচ্ছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবার শীত বেশি। তাই এবারের শীতে একেবারেই কাহিল হয়ে পড়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের জানান, শীতের কারণে মানুষের নিউমোনিয়া, সর্দ্দি, জ্বর, কাশি, আমাশয় রোগ হচ্ছে। এসব রোগে মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছেন। সাধ্যানুযায়ি তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা দাবি করেন।