জেনে নিন ভিসা আবেদনের নিয়ম-কানুন

আর নয় রাজশাহীঃ ভারতীয় ভিসা মিলবে বগুড়াতেই

অরূপ রতন শীল ও অসীম কুমার কৌশিক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারী ২০১৯ ১৪:০৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৩৮৪ বার।

ভারতে চিকিৎসা ও ভ্রমণের জন্য বগুড়ায় নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হলো। রোববার বগুড়ায় ঠেঙ্গামারার  চার তারকা হোটেল মমইন এর মূল ফটকের কাছে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিটি কর্ম দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভিসা সেন্টারের কর্ম পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে ভারতের বিশেষ বিশেষ ছুটির প্রতি লক্ষ্য রেখে ওই দিনগুলোতে ভিসা সেন্টা বন্ধ থাকবে। শুক্র শনিবার ছাড়া সপ্তাহের পাঁচদিনই আবেদন গ্রহণ করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকলেও দুপুর ১টা পর্যন্ত ভিসা আবেদন জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিকেল ৩টা থেকে পর্যন্ত পাসপোর্ট ডেলিভারী দেওয়া হয়।বাকি সময় তাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম চলে। 

এখানে বগুড়াসহ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ পলাশবাড়িসহ বগুড়া লাগোয়া অঞ্চলের মানুষ এখন খুব সহজেই  ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

বগুড়ায় ভারতীয় ভিসা আবেদন সেন্টারের ইনিচার্জ সুমন দাস পুণ্ড্রকথাকে  জানান, এখান থেকে মোট ছয় ক্যাটাগরির ভিসা প্রদান করা হবে। এগুলো হলো: মেডিকেল, টুরিস্ট, স্টুডেন্ট, বিজনেস, এন্ট্রি ট্রানজিট।

সাধারণত ভিসা আবেদনে যে সকল কাগজপত্র লাগেঃ

১। আবেদনপত্র

২। জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম সনদ পত্র

৩। ইউটিলিটি বিলের কপি

৪। ব্যাংক স্টেট্মেন্ট।

৫। পেশাগত প্রমাণপত্র।

৬।পাসপোর্ট এর ফটোকপি(২,৩ পাতা)

চাহিদা অনুযায়ী সকল কাগজপত্র জমা দিতে পারলে সাধারণত আবেদন গ্রহণের থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসা ফি মাত্র ৮৩০ টাকা। যা ইউছি ক্যাশের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে হবে।

তিনি পুণ্ড্রকথাকে  আরও জানান, ভিসা প্রত্যাখানের সম্ভাব্য কিছু কারণ রয়েছে। যা না মানলে  ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। সেগুলো হলোঃ

১। আবেদনকারীর ফরমে কোন ভুল তথ্য পূরণ করলে।

২। কোন ডকুমেন্ট জাল/ নকল সংযুক্ত করলে।

৩। পাসপোর্ট এবং ভোটার আইডি / জন্ম সনদের সাথে কোন গড় মিল থাকলে।

৪। ভ্রমণ ভিসা নিয়ে গেয়ে বেশী দিন থাকলে (OVERSTAY)। 

৫। আবেদন পত্র এবং বিদ্যুত বিলের ঠিকানা গড়মিল থাকলে।

৬। পুরনো ছবি দিয়ে আবেদন করলে।

৭। পেশাগত তথ্য ভুল দিলে।

৮। পুরনো সকল পাসপোর্ট সংযুক্ত না করলে। 

বগুড়ায় হোটেল মমইনকে কেন বেছে নিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন দাস পুণ্ড্রকথাকে বলেন, ‘এই জায়গাটি মূলত মূল সড়কের পাশেই। এখানে রয়েছে মনোরম পরিবেশ। আর ভিসা পেতে কারও সময় লাগলেও এখানে রয়েছে আবাসিক সুবিধা। এমনকি চিকিৎসা সেবাও পাওয়া যাবে হাতের কাছে।‘

নতুন ভিসার আবেদন জমা দিতে আসা বগুড়ার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল জানান, 'রাজশাহী অফিসে যেয়ে ভিসা বিড়ম্বনার শেষ ছিল না। সকাল সকাল যেতে না পারলে লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত ভিসার কাগজপত্র জমা দিতে পারতাম না। আর এখন বাড়ির কাছে ভিসার আবেদন সেন্টার পেয়ে আমরা খুব খুশী।'