রাখাইনে ‘আরাকান আর্মি’ দমনে অভিযানে নামছে সেনাবাহিনী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারী ২০১৯ ০৫:৩৭ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯০ বার।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শুক্রবার (০৪ জানুয়ারি) পুলিশের ওপর হামলার জেরে এখানকার জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনীকে কঠোরভাবে দমন করবে দেশটি। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীর অভিযানে তাদের দমন করার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমার সরকারের নেত্রী অং সান সু চির প্রশাসন।

রাখাইনে বিদ্রোহীদের হামলায় সাত পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সোমবার (০৭ জানুয়ারি) দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন সু চি। তখন সু চির প্রশাসন সেনাবাহিনীকে ওইসব জাতিগত বিদ্রোহীদের দমনের আহ্বান জানায় বলে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জো হাথয় জানিয়েছেন।

দেশটির রাজধানী নাইপিদোতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের ব্যাপারে জো হাথয় বলেন, সোমবারের বৈঠকে অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এদিক থেকে, সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়িং, তার উপপ্রধান এবং সেনা গোয়েন্দা প্রধানসহ সেনা নেতারা বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। তখন বৈঠকে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক আলোচনা হয়।

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে রাখাইনের জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন অঞ্চলে জাতিগত বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গোষ্ঠী ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ বিতাড়িত হয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, রাখাইনে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন চায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মি (এএ) গোষ্ঠী। এখানকার সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের জন্য আরও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংগ্রাম করছেন জাতিগত বিদ্রোহীরা। এ নিয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিকেও আরাকান আর্মি গোষ্ঠী ও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। যা থেকে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।

এদিকে, এই রাজ্য থেকেই সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সেনাবাহিনীর আমানবিক নির্যাতনের মুখে পড়ে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা সীমান্তবর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

শুক্রবার মিয়ানমারের ৭১তম স্বাধীনতা দিবসকে উপলক্ষে করে রাজ্যটিতে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায় আরাকান আর্মি গোষ্ঠী। আর এতে সাত পুলিশ সদস্য নিহত হন।

পরে এ হামলার দায়ও স্বীকার করে আরাকান আর্মি। এর মুখপাত্র খাইন তো খা জানিয়েছিলেন, আরাকান আর্মির সদস্যরা চারটি পুলিশ চৌকিতে হামলা চালান। পরে তারা সাত প্রতিপক্ষের মরদেহ উদ্ধার করেন।