আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিবেদন

২০১৮ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে ২৮৭ শতাংশ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী ২০১৯ ১১:০৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩২ বার।

বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দিক থেকে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী ২০১৭ সালের তুলনায় গত বছর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে ২৮৭ শতাংশ। খবর স্টার অনলাইন।

বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৮: আসক’র পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন আসক’র নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা।

ত এক বছরে বাংলাদেশে মোট ৪৬৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন মাদকবিরোধী অভিযানের সময়। গত বছরের মে মাস থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযানে নিহতদের হিসাবে রেখেছেন আসক।

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে আসক’র নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, ২০১৭ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ১৬২ জন।

সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী গত এক বছরে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ২৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

শীপা হাফিজা বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখতে হবে যে কোনো নিরপরাধ মানুষ এর শিকার হয়েছেন কি না।

তার ভাষ্য, “সার্বিকভাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।”

আসক ২০১৮ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব তথ্য উত্থাপন করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে:

  • ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭৩২টি, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬৩ জনকে ও ৭ জন ধর্ষিতা আত্মহত্যা করেছেন​
  • ১,০১১ জন শিশু নিপীড়নের শিকার হয়েছে, নিপীড়নের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ২৮৩টি ও আত্মহত্যা করেছে ১০৮ শিশু
  • পুলিশের সংগে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৬৭ জন
  • নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৩৪ জন; আওয়ামী লীগের ১৯ জন, বিএনপির ৪ জন ও সাধারণ মানুষ ১০ জন

নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের সাজা হচ্ছে না উল্লেখ করে শীপা হাফিজা বলেন, এই কারণেই এরকম অপরাধ ঘটেই চলেছে।