চা বিক্রি করেই ২৩ দেশে ভ্রমণ!

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী ২০১৯ ০৬:৩৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৭ বার।

পৃথিবীকে ঘুরে দেখার স্বপ্ন কার না আছে! তবে দেশের গন্ডি পেরিয়ে অন্য দেশে পা ফেলতে হতে হবে ধনী কিংবা বড় কোনো কর্মকর্তা।

তাহলেই দেশের বাইরে পা ফেলার সৌভাগ্য জুটবে কপালে। এমনটাই ধারণা প্রায় অনেকের।

কিন্তু সেই চিরাচরিত ধারণাকে পাল্টে দিল ভারতের কোচির বিজয়ন নামের ৭০ বছর বয়স্ক এক চা বিক্রেতা।

শুধু চা বিক্রি করেই সস্ত্রীক তিনি ঘুরে এলেন বিশ্বের বহু দেশ।

তালিকা থেকে বাদ যায়নি সিঙ্গাপুর, আর্জেন্টিনা, পেরু। ভূস্বর্গ সুইজারল্যান্ডের নৈস্বর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেও সচোক্ষে অনুভব করে এসেছেন এই চা বিক্রেতা।

প্রায় ২৩টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন তারা ইতিমধ্যে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি আলোড়ন তুলেছে। এই দম্পতি এখন রীতিমতো সেলিব্রেটি।

জানা গেছে, ১৯৬৩ সাল থেকে চা বিক্রি করছেন বিজয়ন ও তার স্ত্রী মোহনার।

বিগত ৫০ বছর ধরে কোচিতে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান রয়েছে তাদের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, প্রথমে কোচির রাস্তায় রাস্তায় চা বিক্রি করতেন বিজয়ন। চা বিক্রির কাটতি বেড়ে যাওয়ায় তিনি কোচিতে চায়ের দোকান খোলেন।

এ বিষয়ে বিজয়ন বলেন, ইতিমধ্যে সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, পেরু, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, আমেরিকাসহ ২৩টি দেশ ঘুরেছি আমরা।

সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, গ্রিনল্যান্ড, নরওয়ের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন এখনও এসব দেশে যাওয়া হয়নি আমাদের। এবার সে উদ্দেশেই টাকা জমাচ্ছি।

আর সেই স্বপ্ন পূরণ করবে এই চায়ের দোকান বলে হেসে দেন বিজয়ন।

এতো ছোট দোকানের আয়ে এতো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কীভাবে সেই প্রশ্নে বিজয়ন জানান, আমার দোকানে রোজ ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাহক আসেন।

বিজয়ন ও তার স্ত্রী মোহনা

শুধুমাত্র বিদেশ ভ্রমণ খাতে দৈনিক ৩০০ টাকা করে জমিয়ে বছরে ১ লাখ টাকা সঞ্চয় করেন বলে জানান বিজয়ন।

একেবারেই মিতব্যয়ী বিজয়ন। টাকা বাঁচাতে দোকানে রাখেন না কোনো কর্মচারী।

তবু জমানো টাকা কম পড়ে গেলে বাকিটা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হলেও বিদেশে পাড়ি দেন বলে জানান তিনি।

ভ্রমণ শেষে ভারতে ফিরে এসে তিন বছর ধরে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেন। এরপর আবার শুরু হয় তাদের সঞ্চয় কার্যক্রম। এভাবেই ২৩টি দেশ ঘুরেছেন এই দম্পতি।