সেই সৌদি তরুণীর আশ্রয় হলো কানাডায়

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩:২০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২১৫ বার।

নিজের পরিবার ছেড়ে পালানো সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কানুনকে আশ্রয় দিয়েছে কানাডা।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে 'বৈধ শরণার্থী' হিসেবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ জানানোর পর কানাডা তাকে আশ্রয় দিতে রাজী হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।

ব্যাংককের একটি হোটেলে অবস্থান করা এই তরুণীর দাবি, তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করায় তার জীবন এখন হুমকির মুখে।

এই সৌদি তরুণী নিজের হোটেল কক্ষে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন, যাতে থাই কর্তৃপক্ষ তাকে ফেরত পাঠাতে না পারে। শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা এতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।

বিবিসি বলছে, ব্যাংকক থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন রাহাফ; তবে কর্তৃপক্ষ তাকে কুয়েতে অবস্থানরত তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।

রয়টার্সকে তিনি বলেন, আমার পরিবার অতি তুচ্ছ অপরাধেও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সৌদি আরবে ধর্মত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। রাহাফ এখন হোটেল কক্ষ থেকে তার অবস্থা জানিয়ে নিয়মিত টুইট করছেন।

শেষ পর্যন্ত আশ্রয় দেওয়ার জন্য কানাডার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। তারা বলছে, কিছুদিন যাবৎ আল-কুনুনের দুর্দশা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে।

গত শনিবার আল-কুনুন পরিবারে সঙ্গে কুয়েত যাওয়ার পথে ব্যাংককে পালিয়ে আসেন। ব্যাংকক বিমানবন্দরে আটক হওয়ার পর আল-কুনুন দাবি করেন তার কাছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে কানেকটিং ফ্লাইট ধরবেন। কিন্তু সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট একজন সৌদি কূটনীতিক কেড়ে নিয়েছেন।

সৌদি তরুণী রাহাফকে আশ্রয়দানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বে মানবাধিকার ও নারী অধিকার রক্ষায় সব সময়ই পাশে দাঁড়ায় কানাডা। জাতিসংঘ তাকে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ করেছিল; আমরা তা গ্রহণ করেছি। 

খবর সমকাল অনলাইন