শুটিং শেষ না করে অপু-নিরবরা যে কারণে ফিরে এলেন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২০ ১২:৩৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৩ বার।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবি‘ছায়াবৃক্ষ’। ছবিটির মাধ্যমে প্রথমবার একসঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করছেন নিরব ও অপু বিশ্বাস। অনুমপম কথাচিত্রের ব্যানারে নির্মিত ছবিটি পরিচালনা করছেন বন্ধন বিশ্বাস। মূলত চা বাগানের শ্রমিকদের সুখ, দুঃখ, হাসি কান্না ও সার্বিক দিনযাপন নিয়ে ‘ছায়াবৃক্ষ’ ছবির গল্প। 

গত ৫ নভেম্বর  চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা-বাগানে শুরু হয়  ছবিটির শুটিং। সে সময় পরিচালj জানান, রাঙ্গুনিয়ার চা বাগানেই  ২৫ নভেম্বর পর‌্যন্ত পুরো ছবির শুটিং শেষ করে ঢাকা ফিরবেন তারা। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের আগেই ঢাকায় ফিরেছে অপু-নিরবরা। শেষ হয়নি পুরো ছবির শুটিংও। নির্মাতা জানালেন, ৬০ ভাগ কাজ শেষ করেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে তাদের।

ছবির শুটিং শেষ করে ফেরার কথা থাকলেও কেনো  ৬০ ভাগ কাজ শেষ করে ফিরতে হলো?  বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র পাড়ায় কিছু গুঞ্জনও উঠে। যেখানে বলা হচ্ছে, প্রডাকশন খরচ না থাকাতেই শুটিং স্থগিত করে ঢাকায় ফিরে ছায়াবৃক্ষ টিম। তবে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দেন ছবিটির সহপ্রযোজক অনুপম কথাচিত্রের কর্ণধার অনুপ কুমার বড়ুয়া।

তিনি বলেন, এমন কথা আমার কানেও এসেছে। কিন্তু আসল কথা তো আমাকে জিজ্ঞেস না করলে জনে জনে গিয়ে বলতে পারবো না। যারা চা বাগানের সম্পর্কে আইডিয়া রাখেন তারা জানেন। সেখানে অডিটের একটা বিষয় আছে। আমাদের শুটিংকালীন সময়ে তবে হঠাৎ চা–বাগানে অডিট শুরু হয়। তাই বাধ্য হয়েই আমরা শুটিং স্থগিত করি।  আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কিন্তু স্থগিত করিনি।  অডিট না হলে আমাদের ছবি পেছাত না। আমরা আরও পাঁচ–সাত দিন টানা শুটিং করতে পারতাম। তাহলেই ছবিটির শুটিং শেষ হয়ে যেতো।’

‘ছায়াবৃক্ষ’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন তানভির আহমেদ। শিডিউল মিললে আগামী ২২ তারিখের পর আবার শুটিংয়ে যাওয়ার কথা জানালেন ছবিটির পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস। 

এদিকে শুটিং স্থগিত হলে ঢাকায় ফিরে সমকালের সঙ্গে আলাপে নিরব বলেন, ‘ছায়াবৃক্ষের স্থিরচিত্র দেখে অনেকেই আন্দাজ করতে পেরেছে ছবিটি যে গল্প নির্ভর। বেশ অনুকূল পরিবেশের মধ্যে টানা ১১ দিন শুটিং করতে হয়েছে আমাদের। ছবির প্রত্যেক কলাকুশলীকেই শুটিংকালীন দারুন কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ওখানে দিনে ভয়ঙ্কর গরম, রাতে প্রচণ্ড কুয়াশা ছিলো। শুটিং করতে গিয়ে প্রোডাকশনের ছেলেরা অসুস্থ হয়ে যায়। শুটিং করেছি এক জায়গায়, মেকাপ নিয়েছি আরেক জায়গায় এবং রাতে থেকেছি অন্য জায়গায়। এরমধ্যে যেখানেই যাই সেখানে শত শত মানুষ ঝেঁকে ধরতো। নিরাপত্তা কর্মী থাকলেও তারা ভিড় সামলাতে পারতো না।’

নিরব আরও বলেন, ‘তবে কষ্ট হলেও আমরা স্ক্রিনে সেরা পারফর্ম দেয়ার চেষ্টা করেছি। দৃশ্যধারণ এত চমৎকার হয়েছে যে চা বাগানের আমি, অপু বিশ্বাস, নওশাবা এবং সুমিতের একটা গান রয়েছে; দেখলে মনে হবে বিজ্ঞাপনের দৃশ্য! এতো ঝকঝকে চকচকে দৃশ্যধারণ। এছাড়া এবারই প্রথম অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করলাম।  উনি এতো ভালো অভিনয় করেছেন যে অন্যপাশে থেকে তার এক্টিং স্কিলে রিঅ্যাকশনে আমার অভিনয় অটোম্যাটিক চলে এসেছে। এছাড়া প্রযোজকের সহযোগিতা, পরিচালকের মেধা এবং ডিওপি’র ক্যারিশমায় চমৎকার কাজ হয়েছে।’

শুটিং স্থগিতের কারণ জানিয়ে নিরব বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল একটানা শুটিংয়ে ‘ছায়াবৃক্ষ’র পুরো শুটিং সম্পন্ন হবে। সেটা সম্ভ হলো না।  কারণ সেখানে অডিটের কাজ শুরু হওয়ায়তে আমাদেরও ফিরতে হলো। ডিসেম্বরে ৮ থেকে ১০ দিন শুটিং করতে পারলে বাকি অংশের কাজ শেষ হবে। আশা করি দ্রুতই ছবিটি শেষ করতে পারবো।’

ছায়বৃক্ষের বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা আহমেদ, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু (বড়দা মিঠু) প্রমুখ।