শীতে বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২০ ১২:৪৪ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০১ বার।

তাপমাত্রা কমলেই বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই দিনগুলোতে ক্ষতিকর ধূলিকণা আমাদের শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে। পাশাপাশি বাতাসে উপস্থিত ধোঁয়া, কার্বনডাইঅক্সাইড, মিথেন থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাবে অ্যাজমা, ফুসফুসে সংক্রমণ, হাঁপানিসহ একাধিক রোগ হতে পারে।

সম্প্রতি ‘কেমিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা হয়েছে। সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকেরা জানাচ্ছেন, শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত সবার শরীরেই বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। এটি ক্ষণস্থায়ী হতে পারে, আবার দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।

বায়ুদূষণের জেরে ডিমেনশিয়া, অটিজমসহ নানা ধরনের নিউরোলজিকাল ডিজঅর্ডার দেখা যায়। এর পাশাপাশি অ্যাজমা, ফুসফুসে সংক্রমণ, হাঁপানিসহ একাধিক রোগও হতে পারে। এমনকি বায়ুদূষণের প্রভাবে অন্তঃসত্ত্বার শরীরেও নানা সমস্যা হয়। এর জেরে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বায়ুদূষণ তথা বাতাসের গুণগত মান হ্রাস পাওয়ায় নির্দিষ্ট আয়ুষ্কালের আগেই বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪.২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য ভয়ংকরভাবে দায়ী ইনডোর পলিউশনও।

ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  

১. প্রতি দিন বাড়ির বাইরে বেরোনোর আগে একবার আবহাওয়ার রিপোর্টের পাশাপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রাটাও জেনে নিতে হবে। যদি সকাল-সকাল ধোঁয়াশা বা দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির খবর থাকে, তা হলে শরীরচর্চার জন্য বাইরে কোনো রাস্তায় বা পার্কে না যাওয়াই ভালো।

২. যে সব জায়গায় যানজট রয়েছে, সেসব এলাকা থেকে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়। প্রয়োজনে ফাঁকা জায়গায় সাইকেল চালানো যায়। এ ক্ষেত্রে গাড়ি থেকে নির্গত দূষিত ধোঁয়া শ্বাসযন্ত্রে পৌঁছাবে না।

৩. বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী যে কোনো এনার্জি সোর্স থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়িতে এই জাতীয় কোনো যন্ত্র থাকলে, তার ব্যবহার করা কমাতে হবে। সেই জায়গায় এমন কিছু আসবাবপত্র ও জিনিস ব্যবহার করতে হবে, যা জ্বালানি বা শক্তি পুনর্নবীকরণে সাহায্য করে।

৪. ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ঘরের মধ্যে কাঠ জ্বালানো চলবে না।

৫. ঘরের মধ্যে ধূমপান না করাই শ্রেয়।