শেরপুরে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারী ২০১৯ ১৫:০১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫১ বার।

প্রেমের টানে ঘর ছেড়েও শেষ রক্ষা হলো না বগুড়ার শেরপুরের আজিজুল ও কেয়ার। পরিবার তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় শেষমেষ আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন তারা। অভিমানী এই প্রেমিক যুগল হলো কুসুম্বী ইউনিয়নের উচুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আজিজুল হক ও পার্শ্ববর্তী বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে কেয়া আক্তার টপি।

পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজিজুল ও কেয়া উভয়েই বিবাহিত এবং তাদের একটি করে সন্তানও আছে। পাশাপাশি গ্রামের এ দুজনের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু পারিবারিকভাবে তাদের এ সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তারা ক’মাস আগে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। ঢাকায় তারা বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হয়। সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে ভেবে তারা জানুয়ারী মাসের শুরুতেই গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ক আবার সকলের তোপের মুখে পরে। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিসও হয়। কিন্তু তাতেও কোন সমঝোতা না হওয়ায় শেষমেষ আত্মহত্যার পথই বেছে নেয় তারা। রোববার রাত ১০টার দিকে গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এই প্রেমিক যুগল। ঘটনাটি জানাজানি হলে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কেয়া আক্তার টপিকে মৃত ঘোষণা করে। সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুল হকও মৃত্যুর মুখে ঢলে পরে।

শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন এবং এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান।