কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারী ২০১৯ ০৬:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৯১ বার।

কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, প্রশ্নফাঁসরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ ও শিক্ষা প্রশাসন আরও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (১৪ জানুয়ারি)  সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আট উইং প্রধানদের সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, নতুন শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার প্রথমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উইং প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উইং প্রধানরা গত ১০ বছরের সব অর্জন ও সফলতা তুলে ধরেন। এর সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যাগুলোও উল্লেখ করা হয়।  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে। সভায় সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয় শাখা, কলেজ শাখার দুই শাখা, বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন, প্রশাসন, পরিকল্পনা উইং প্রধান ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নাম প্রকাশ না করে একজন কর্মকর্তা বলেন, বেশ আগ্রহভরে সচিব উপস্থাপনা শুরু করলেও তাতে ভাটা পড়ে। মন্ত্রীদের প্রশ্নের মুখে বারবার তাঁকে থামতে হচ্ছিল। কারণ এ উপস্থাপনার মধ্যেই মন্ত্রীরা সচিবকে নানা প্রশ্ন করে জেনে নিচ্ছিলেন কোথায় কী? উত্তরে কখনো সন্তুষ্ট হয়েছেন আবার কখনো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মন্ত্রীরা।

সভাশেষে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা বিশ্বাস করি, তাই বিগত দিনে শিক্ষাখাতে সব উন্নয়নে যে ধারা ছিল তা বজায় রাখা হবে। বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের দায়িত্ববোধ সর্ম্পকে অবগত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ফরমপূরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছে। দ্রুত এটি বন্ধ করতে নতুন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা খাত পরিচালনায় শিক্ষা প্রশাসন আরও কার্যকর করা, কোচিং বাণিজ্যের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি দীর্ঘদিন আটকে থাকা শিক্ষা আইন পাসের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন হলে বিদ্যমান অনেক সমস্যা দূরীকরণ করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন উইং প্রধানরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসসহ বর্তমান সঙ্কটগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দ্রুত এসব সমস্যা লাঘর করে শিক্ষা প্রশাসনকে আরও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

সচিব বলেন, আমাদের সন্তানদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম পরিবর্তনের আলোচনা হয়েছে। তাই নতুন কারিকুলাম তৈরির জন্য বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এটিকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কীভাবে আনা সম্ভব হয় সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।