খালেদাকে বিদেশ নিতে আবেদন করেছি, পারমিশন পাইনি: সেলিমা ইসলাম

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ১৪:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮১ বার।

বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে আবেদন করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম। তবে, কোনো আবেদন এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেনি বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলছেন, আবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে আবারও দাবি করেছে বিএনপি।  
 

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক বিবেচনায় গত ২৫ মার্চ প্রথম দফায় সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। সেই ছয় মাস শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় পরিবারের আবেদনে আবারও ছয় মাসের জন্য মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। খবর সময় টিভি 

এরমাঝে বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অসুস্থ বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে তার সুচিকিৎসায় বিদেশে নিতে বারবার সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু বেগম জিয়ার সুচিকিৎসায় বিদেশ নিতে দল কিংবা পরিবার আবেদন করবে কিনা জানতে চাইলে বরাবরই তা এড়িয়ে গেছেন বিএনপি নেতারা। তবে, এবার সময় সংবাদের কাছে বিদেশ নিতে আবেদনের কথা জানিয়েছেন খোদ তার পরিবারের সদস্য বেগম সেলিমা ইসলাম।

খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো আবেদন করেছি, পারমিশন তো হয় নাই। দ্বিতীয়বার যখন আরও ছয় মাস জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছে তখন আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনে বলা হয়েছিল যে, আমরা বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চাই।’

বেগম জিয়ার পরিবার বা বিএনপি থেকে কোনো আবেদন এখনও মন্ত্রণালয়ে বা তার কাছে আসেনি বলে সময় সংবাদকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আবেদন করলে তা বিবেচনা করবে সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত এরকম কোনো আবেদন আসেনি। কোথায় যাবেন, কি করবেন, সেটা বুঝে শুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’

এদিকে, আবারও বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। তিনি জামিন পান নাই। তার জামিন পাওয়া যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাকে জামিন দেওয়া হয় নাই। বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বেগম জিয়াকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। অসুস্থ থাকায় সেখান থেকে কয়েক দফায় নেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কারাভোগের ২ বছর একমাস ১৭দিন পর মুক্ত হয়ে গুলশানের বাসায় ফেরেন বেগম জিয়া।