শেরপুরে টেন্ডারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ১০

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী ২০১৯ ১২:২৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২০০ বার।

বগুড়ার শেরপুরে টেন্ডারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হন। তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমকি চিকিৎসা নিয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের গাড়ীদহ দশমাইল বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাফিজার রহমান টিটু ও সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতির গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

ওই ঘটনায় থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদি উপজেলার গাড়ীদহ দড়িপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন ছেলে আ.লীগ নেতা হাফিজার রহমান টিটু জানান, তিনি বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর (আরডিএ) তালিকাভুক্ত একজন ঠিকাদার। বেশ কয়েকবছর ধরে তিনি সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গেল ১৫-২০দিন আগে টেন্ডারের মাধ্যমে আরডিএ’র একটি পুরাতন ভবন সংস্কারের কাজ পান। এই খবর পেয়ে গাড়ীদহ ইউনিয়ন (পশ্চিম) আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাড়ীদহ মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল মোমিন মুন্সীর ছেলে মতিউর রহমান ওরফে মতি তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেন। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় ঘটনার রাতে সন্ত্রাসী মতির নেতৃত্বে ডিকে মোমিন, সিদ্দিকুর রহমান, আমিনুর রহমান, এবং আল আমিনসহ অজ্ঞাত ৭-৮জন ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ঠিকাদারি কার্যালয় ও ফ্রেন্ডস ডেভলমেন্ট অর্গানাইজেশন নামের এনজিও সংস্থার কার্যালয়ে হামলা চালায়। এমনকি সেখানে রক্ষিত লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতি সাধন করের তারা। নিষেধ করায় তাকে এবং সংস্থার ব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান মাসুদসহ উপস্থিত কর্মকর্তাদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করেন। একইসঙ্গে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কার্যালয়ের আলমারি ড্রয়ার ভেঙে ঠিকাদারি কাজের জন্য রাখা ৫লাখ টাকা এবং এনজিওর সঞ্চয় আদায়ের প্রায় ৭৬হাজার টাকা লুটে নিয়ে তারা চলে যায় বলে অভিযোগ করেন আ.লীগ নেতা হাফিজার রহমান টিটু।

 

ওই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে গাড়ীদহ ইউনিয়ন (পশ্চিম) আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, টেন্ডার সমঝোতার টাকা চাওয়ায় হাফিজুর রহমান টিটুই আমাকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তার পক্ষের কয়েকজন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন তিনি দাবি করেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাড়িদহ ইউনিয়ন পশ্চিম আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আমি কখনো কারো অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। তাই হাফিজারের কাছে চাঁদা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে সম্পূর্ণ সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেন এই আ.লীগ নেতা।

 

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এ ঘটনায় চাঁদা দাবি ও ভাঙচুরের অভিযোগে মতিউর রহমান মতিসহ ১২জনকে আসামি করে থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন।