বগুড়ায় সংবাদ সংগ্রহের সময় যমুনা টেলিভিশনের ২ সাংবাদিককে মারধর: ৩ জন গ্রেফতার
পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
বগুড়ায় যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধান টিম ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি টিমের ওপর হামলা চালিয়েছে একটি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মালিকপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের মালতীনগর রিয়েল লাইফ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার এসএম জিয়া ও ক্যামরাপার্সন তানভির মিজানকে বেধড়ক পিটিয়ে তাদের ক্যামেরা ও ক্যামেরার ভিডিও টেপ (পি-টু কার্ড) ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করে। এদিকে মারধওে আহতরা স্থানীয় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
টেলিভিশনটির ইনভেস্টিগেশন সেলের রিপোর্টার এসএম জিয়া জানান, তারা দুপুর ১২টার দিকে রিয়েল লাইফ নামে ওই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে তথ্য ও ছবি সংগ্রহের জন্য যান। ভেতরে প্রবেশের পরপরই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নূর মোহাম্মদ তাদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে যোগ দেয় আরো অন্তত ১০/১৫ জন। তারা জিয়া এবং মিজানকে বেধড়ক পিটিয়ে সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে রাখে। এরপর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ক্যামেরা থেকে বেশ কিছু ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করে নূর মোহাম্মদ ও তার সঙ্গীরা। একপর্যায়ে তারা তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা ও ভিডিও টেপ কেড়ে নেয়।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ওই নিরাময় কেন্দ্র থেকে সাংবাদিক জিয়া ও মিজানকে উদ্ধার করে এবং প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর মোহাম্মদ ও তার দুই সহযোগী পলাশ ও আরকুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বগুড়া সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় সাংবাদিক এস এম জিয়া বাদী হয়ে গতকাল বিকেলে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই মাসদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক নুর মোহাম্মদকে প্রধান আসামী ও তার ৩ দুই সহযোগী পলাশ ও আরকুর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামী করা হয়।