বগুড়ার শেরপুরে সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে ‘রহস্যজনক চুরি’

শেরপুর উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩:২৬ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৭৬ বার।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাতে পৌরশহরের হাটখোলা রোডে অবস্থিত সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে।

 

জানা যায়, একদল দুর্বৃত্ত জানালার গ্রীল কেটে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা রেকর্ডরুমে ঢুকে আলমারির তালা ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, বিশেষ করে জমির দলিলপত্র তছনছ করে। তবে সেখান থেকে কোন দলিল খোয়া গেছে কি-না তা গতকাল বৃহস্পতিবার এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেননি সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

সাবরেজিস্ট্রার মো. নুরুল হাকিম গত ১৪জানুয়ারি এই কার্যালয় থেকে বিদায় নেন। ওইদিন তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনাও দেয়া হয়। পরবর্তী কয়েকদিনের মধ্যে নতুন সাবরেজিস্ট্রার যোগদান করবেন। এরইমধ্যে মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে ওই কার্যালয়ে চুরির বিষয়টি রহস্যজনক এবং পরিকল্পিতভ বলে মনে করছেন আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে।

 

ওই কার্যালয়ের অফিস সহকারি লুৎফর রহমান জানান, কাজকর্ম শেষে অন্যান্য দিনের ন্যায় বুধবার বিকেলে তালাবদ্ধ করে চলে যান তারা। এরপর রাতে দুইজন নৈশ্যপ্রহরী ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে এসে চুরির ঘটনাটি টের পান। দেখতে পান অফিসের জানালা ভাঙা। রেকর্ডরুমের ভেতরে কাগজপত্র তছনছ অবস্থায় পড়ে আছে। আলমারির তালাও ভাঙা। তবে কোন দলিলপত্র চুরি হয়েছি কি-না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান অফিস সহকারি লুৎফর রহমান। দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এসএম ফেরদৌস জানান, রেজিস্ট্রি অফিসে জমির দলিল-সংক্রান্ত সরকারি লেনদেন হয় ব্যাংকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে। এখানে কোন নগদ টাকা-পয়সা থাকে না। তাই দলিল বা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি করা ছাড়া রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্বৃত্তদের হানা দেয়ার আর কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। শঙ্কা প্রকাশ করে দলিল লেখক সমিতির এই নেতা আরও বলেন, বিগত দুই থেকে তিন বছরের প্রায় বিশ হাজার মতো জমির দলিল রয়েছে। যেসব দলিল এখনও বালামে নথিভুক্ত হয়নি। এসব দলিল চুরি হলে নানামুখি সমস্যা তৈরী হতে পারে। তাই এই অফিসের নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি উক্ত ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহিৃত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

 

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুতই এই রহস্যের জট খুলবে এবং ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আয়তায় আনা হবে।