জীবিত মানুষকে কবরে রেখে প্রতারণা, আটক ৩

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারী ২০১৯ ১৪:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫২৬ বার।

কবর খোড়া হয়েছে। তবে মরদেহ দাফনের জন্য নয়। মুখ বেঁধে কবরে শুইয়ে দেওয়া হয়েছে জীবিত একজন মানুষকে। দাফনের আনুষ্ঠানিকতা মেনে রীতিমতো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এবার যাদু দেখাবেন এক যাদুকর। উৎসুক জনতার চোখ তখন কবরের দিকে। 

হঠাৎ পাল্টে গেলো জাদুকরের সুর। উপস্থিত উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে জাদুকর বললেন, ‘যা আছে আনুন, নইলে ভেতরের মানুষটাকে বাঁচানো যাবে না। মানুষটি মরে গেলে এই এলাকার কেউই বাঁচবে না।’

তার মুখে এমন ভয়ঙ্কর কথা শুনে আশেপাশের সবাই যার কাছে যা আছে হন্তদন্ত হয়ে আনতে শুরু করলেন। কেউ নগদ টাকা, কেউ ধান, কেউ কাপড় এনে কবরের সামনে রাখলেন। এ সময় পাশ দিয়ে ফোর্সসহ যাচ্ছিলেন বাগাতিপাড়া থানার এসআই খাইরুল ইসলাম। মানুষের ভিড় ঠেলে কাছে গিয়ে দেখেন জীবিত মানুষ কবরে রেখে অভিনব কৌশলে করা হচ্ছে প্রতারণা।

মঙ্গলবার বিকেলে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের রহিমানপুরে বাদশা নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে এ প্রতারণার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিজেদের জাদুকর পরিচয় দেওয়া তিন প্রতারককে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের নূরনগর গ্রামের মৃত মোসলেম দারোগার ছেলে মনোয়ার হোসেন (৩৩), একই গ্রামের মৃত পিয়ার আলীর ছেলে পলাশ (২৯) ও ঝিনাগ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে সেলিম হোসেন (৩২)। 

এসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে রহিমানপুর থেকে ফেরার সময় বাদশা নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে মানুষজনের ভিড় দেখতে পাই। কাছে গিয়ে দেখি সেলিমকে কবরে শুইয়ে মাটি চাপা দিয়েছে মনোয়ার ও পলাশ। এরপর প্রতারণা শুরু করে তারা। বলতে থাকে, কথা মতো সাহায্য না করলে সেলিমের মৃত্যু হবে এবং ওর মৃত্যু এলাকবাসীর জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে। এভাবে মিথ্যা বলে তারা উপস্থিতি জনতার কাছ থেকে টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র হাতিয়ে নিচ্ছিলো। এ সময় আমরা কবর থেকে জীবন্ত সেলিমকে উদ্ধার করি এবং প্রতারণার অভিযোগে ওই তিনজনকে আটক করি।

বাগাতিপাড়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ পিপিএম জানান, আটক তিনজন পাশ্ববর্তী বাঘা থানার তালিভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক মামলার আসামি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খবর সমকাল অনলাইন