পায়ে হেঁটে ১৭ দিনে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০২১ ০৬:৩৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৮ বার।

পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পায়ে হেঁটে পৌঁছেছেন এক তরুণ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে পৌঁছান।

এই তরুণ হলেন রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার সাহেদ আহমেদ ওরফে রিমন (২৮)। তিনি পেশায় একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার।

সাহেদ বলেন, তিনি গত ২০ ডিসেম্বর সকালে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করেন। আজ বিকেলে শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে ১৭ দিন। পাড়ি দিয়েছেন ৯১০ কিলোমিটার পথ।

যাত্রাপথে সাহেদ ১৪টি জেলা পার হয়েছেন। এগুলো হলো পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।

মঙ্গলবার বিকেলে ঘোলারচর পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে গিয়ে দেখা যায়, মাথায় টুপি পরা সাহেদের গায়ে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত টি–শার্ট। হাতে ব্যানার। তাতে বড় করে লেখা—পরিবেশ, বন ও বন্য প্রাণী রক্ষায় পায়ে হেঁটে যাত্রা।

সাহেদ জানান, এই যাত্রায় তার সঙ্গী ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আসাদুল ইসলাম। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়ায় পৌঁছার পর পায়ে ফোস্কা পড়ার কারণে আসাদুল আর হাঁটতে পারেননি। তার আগে বাংলাদেশের আরও ১২ জন এ পথ হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি ১৩তম ব্যক্তি।

পরিবেশ রক্ষায় এত পথ পাড়ি দেওয়া এই তরুণ মনে করেন, বন ধ্বংস, বন্য প্রাণী ও পরিযায়ী পাখি শিকার, পানি ও বায়ুদূষণ, নদী দখল ও ভরাট, মাত্রাতিরিক্ত ও ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার, পাহাড়ে বন উজাড় করে অপরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক উত্তোলনের কারণে দেশের পরিবেশ আজ বিপর্যস্ত। এসব বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।