আলোচনার শীর্ষে পপি !

আমিনুল ইসলাম শ্রাবণ. ধুনট উপজেলা (বগুড়া) থেকে
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারী ২০১৯ ০৯:৪৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫৭৬ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটারের আলোচনার শীর্ষে রয়েছে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পপি রানী সাহা। আগামী ১৮ মার্চ ধুনট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচন ঘিরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পপি রানী সম্ভাবনাময়ী হিসেবে আলোচনায় স্থান পেয়েছে। 

২০০০সালে ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহনের মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পপি রানী সাহা। পরবর্তিতে ধুনট উপজেলা যুবলীগের কর্মী এবং যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। বর্তমানে সে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। 

পপি রানী সাহা ধুনট উপজেলায় আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছে। নানা সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে রয়েছে মানুষের পাশে। বিশেষ করে নারীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপি-জামায়াতের নাশকতামুলক কর্মকান্ডে লাঠি হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দেড় যুগে নিজেদের মেধা ও রাজনৈতিক দীক্ষা দিয়ে নারীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন সৃষ্টি করেছে। তার নেতৃত্বে ধুনট উপজেলায় মহিলা  আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বেগবান হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমানে আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ডে নারীর ব্যাপক অংশ গ্রহন সৃষ্টিতে সে বিশেষ অবদান রেখেছে।

তরুণ নারী  নেত্রী পপি রানী সাহা ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। কলস প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৭হাজার ৯৮৭। ওই নির্বাচনে সে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে পরাজিত হয়েছে। পরাজিত হলেও দলের কাছে চমক সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে পপি রানী সাহা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দু’টি পদে আওয়ামী লীগের সকল প্রার্থীদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পেয়ে এই চমক সৃষ্টি করে। নির্বাচনে পরাজিত হলেও সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সক্রিয় ছিল পপি রানী। যার কারনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সে একমাত্র হ্যাভিওয়েট প্রার্থী। 

পপি রানী বলেন, নিঃস্বার্থ ভাবে দল এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। চাওয়া পাওয়ার উর্দ্ধে থেকে কাজ করার কারনে সকল শ্রেণির মানুষের সমর্থন পেয়েছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ধুনট উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়েছে। এবার আমি ওই পদে জয় নিশ্চিত করে প্রিয় নেত্রী ও দলকে উপহার দিবো।