পুলিশ বলছে চক্রটি পেশাদার: গ্রাম থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরাই তাদের টার্গেট

বগুড়ায় কলেজ ছাত্রকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ: পরে উদ্ধার: গ্রেফতার ৩

পুণ্ড্রকথা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯ ০৯:৩৩ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৮৯ বার।

বগুড়ায় এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাদের হেফাজত থেকে সাকিবুল ইসলাম (২০) নামে অপহৃত সেই কলেজ ছাত্রকেও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে অপহরণের প্রায় ৮ ঘন্টা পর রাত পৌণে ১০টার দিকে সাকিবুলকে উদ্ধার করা হয়। সে বিআইআইটি নামে স্থানীয় বেসরকারি এক পলিটেকনিকের ছাত্র। রোববার দুপুরে বগুড়া সদর থানা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অপহরণের অভিযোগে যে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো- খান্দার নতুনপাড়া (চাপর) এলাকার আবুল কালামের ছেলে রেজাউল ইসলাম রিয়াদ (২৪), একই এলাকার  ইদ্রিস আলীর ছেলে সজীব (২৫) ও মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার ওয়াদুদ সরকারের ছেলে ওয়াহেদ ফারুকী মেঘ (১৯)। তবে অপর আসামী খান্দার চারতলা এলাকার  মৃত সামাদ হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৬) পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ৪জন পেশাদার অহরণকারী। গ্রাম থেকে পড়তে আসা স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরকেই তারা সাধারণত টার্গেট করে।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর সোহেল রানা জানান, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার দামরুল গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাকিবুল শহরের সেউজগাড়ি এলাকার একটি মেসে থেকে পড়ালেখা করে। ২৬ জানুয়ারি শনিবার সকালে সে কলেজে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে যায়। দুপুরে পরীক্ষা শেষ হলে সাকিবুল রিকশা নিয়ে মেসে ফিরছিল। দুপুর দেড়টার দিকে খান্দার তিন রাস্তার মোড়ের কাছে পৌঁছার পর পরই উল্লেখিত ৪ যুবক তাকে অপহরণ করে। এরপর তার বাবার কাছে ফোন করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের মাধ্যমে ১লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবি করা টাকা না দিলে সাকিবুলকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা।
সাব ইন্সপেক্টর সোহেল রানা জানান, বিষয়টি পুলিশ জানার পর পরই তারা অপহৃত কলেজ ছাত্রকে উদ্ধারে অভিযানে বেড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য সাকিবুলের বাবার মাধ্যমে কৌশলে তাদের দাবি করা টাকা পরিশোধের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এজন্য কোথায় কার কাছে টাকা পৌঁছে দিতে হবে তা জানতে চাওয়া হয়। তখন অপরহরণকারীরা তাদের একজনকে রাত ৯টার পর খান্দার বাজারে পাঠানোর কথা জানিয়ে তার হাতেই মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করতে বলে। তারপর একদল পুলিশ সাদা পোশাকে ওৎঁ পেতে থাকে এবং পৌণে ১০টার দিকে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা ওয়াহেদ ফারুকী মেঘকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খান্দার পাসপোর্ট অফিসের পেছনে একটি রাস্তা থেকে তার অপর তিন সহযোগীকে গ্রেফতার এবং তাদের হেফাজত থেকে অপহৃত সাকিবুলকে উদ্ধার করা হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, ওই ঘটনায় ভিকটিম সাকিবুলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন,‘পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’