সান্তাহারে রেলওয়ের নিলামকৃত ওয়াগনের মালামাল মাপযোগ ছাড়াই সরবরাহের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯ ১১:৫৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২৫২ বার।

বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনের ইয়ার্ডে থাকা মিটারগ্রেজ ও ব্রডগ্রেজের মোট ৭৬টি ওয়াগন পানির দামে নিলাম করাসহ দপ্তর আদেশের বাহিরে অতিরিক্ত মালামাল সরবরাহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ওয়াগন ভেঙ্গে সরবরাহের সময় রেলওয়ের দায়িত্বপ্রপ্ত ষ্টক ভেরি ফাইয়ার সাহিদ হোসেন উপস্থিত থেকে মালামাল সরবরাহের কথা থাকলেও তিনিসহ সংশ্লিষ্ট রেল বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। তাছাড়া এসব মালামাল সরবরাহের সময় মাপ যোগের জন্য কোনো যন্ত্রপাতি আনা হয়নি। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো প্রাপ্ত মাপের অধিক মালামাল নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিয়োগ উঠেছে। এতে করে রেলবিভাগ লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিক্রয়াদেশ সূত্রে জানাযায়, সম্প্রতি রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চল জোনের সিওএস-পশ্চিম-রাজশাহীর নথি নং-সেল ২০১৮/০৮ ও ২০১৮/১০ এবং বিক্রয়াদেশ নং ২০১৮/৩৬ ও ২০১৮/৩৭ দরপত্রের মূলে মিটারগ্রেজের এমজি ৩৭টি এবং ব্রডগ্রেজের ৩৯ মিলে (দুই লটে) সর্বমোট ৭৬ টি ওয়াগন কেটে সরবরাহের জন্য চট্রগ্রামের পাথরঘাটার মেসার্স মঈন উদ্দীন জাভেদ ট্রেডার্সকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পশ্চিম) কর্তৃক সৈয়দপুর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রককে এ নির্দেশ দেয়া হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মিটারগ্রেজের এমজি ৩৭টির প্রতিটি ওয়াগন থেকে পৌনে ২টন এবং ব্রডগ্রেজের ৩৯টির প্রতিটি ওয়াগন থেকে প্রায় ৫টন সরবরাহের কথা থাকলেও তারা মাপযোগ ছাড়াই ইচ্ছে মতো অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। সান্তাহার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আসলাম সিকদার জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেলিভেরি কর্মকর্তা সাহিদ হোসেনের সাথে ক্রেতা বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজস করে নির্দিষ্ট মালমালের চেয়ে বিপুল পরিমান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে রেলের কোটিকোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আনছার আলী জানান, নিলামকৃত মালামালের মধ্যে ওয়াগনের শুধু প্লেট সরবরাহের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিšুÍ স্প্রিং, প্লেট,স্কেলবক্স, এক্সেলগার্ড, দরজা জমা দেয়ার কথা থাকলেও এসব মালামালগুলিও নিয়ে যাচ্ছে। এখানে দেখার কেউ নেই এজন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গ্যাস দিয়ে ইচ্ছে মতো মালামাল কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিক্রয়াদেশ অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মালামাল সরবরাহের পর অতিরিক্ত মালামাল বুঝে নেয়ার দায়িত্বে থাকা স্টক ভেরিফাইয়ার সাহিদ হোসেনকে ঘটনাস্থনে খুঁজে না পাওয়ায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মালামাল সরবরাহ শেষের দিকে আর মাত্র ৬টি ওয়াগন সরবরাহের বাঁকি আছে শেষ সময় আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছিনা। ওজন ছাড়াই এসব মালামাল সরবরাহের বিষয়ে সান্তাহার ক্যারেজ বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী আনছার আলী মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালামাল ওজন করে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের নেই, আমাদের শুধু দেখাশোনার দায়িত্ব। তবে তিনি বলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের ম্যানেজার মোঃ জাহিদ বলেন সিডিউল অনুযায়ী ওয়াগন থেকে স্ক্রাপ মালামাল নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত মালামাল নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।