শপথ নিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের সুলতান মনসুর-মোকাব্বির

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯ ০৬:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ২২৯ বার।

৩০ ডিসেম্বরের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রতিনিধি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন।তারা হলেন-জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান।

ঢাকসু সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আর সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন গণফোরামের মোকাব্বির খান।সুলতান মনসুর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করেছেন। আর সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় গণফোরাম নেতা মোকাব্বির ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুর শপথ নেয়ার তথ্য তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জনগণের মতামত মূল্য দিতে শপথ নিচ্ছেন জানিয়ে সুলতান মনসুর বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে আছি। এই সময়টাতে আমার নির্বাচনী এলাকা জনগণ, যারা শত ঝুঁকি নিয়েও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সারাদেশের অনেক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মতও আমি নিয়েছি। আমি একজন মানুষও পাইনি যিনি আমার শপথের বিপক্ষে। সবাই একবাক্যে বলেছেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনরায়কে মূল্য দিয়ে শপথ নিতে। যেহেতু জনগণের জন্য রাজনীতি করি সেহেতু জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে হবে।

 

‘আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের যেমন আমার প্রতি প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি আমারও দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদের মতের প্রতি’-যোগ করেন সুলতান মনসুর।

 

সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত মোকাব্বির খানও শপথ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ নেয়ার বিষয়ে আমার নেতা ড. কামাল হোসেন সবসময় ইতিবাচক। আমরা দু’জনই (সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির) শপথ নেব।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পায়। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় ৮টি আসন।নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ও ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে রয়েছেন।

 

ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন প্রথমে শপথের পক্ষে সায় দিলেও ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।সবশেষ সেই সিদ্ধান্ত বদলে ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রতিনিধি শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।