এটা একটা গার্ডেন পার্টি: ওবায়দুল কাদের

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১২:২৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৪ বার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২ ফেব্রুয়ারি সব দলকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপিও আসতে পারে। এটা একটা গার্ডেন পার্টি। ফাঁকে ফাঁকে কথা বলা যাবে। তবে, তারা কেন আসবে না, এটা তাদেরই নিজস্ব ব্যাপার।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেও বিএনপি নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। তারা সংসদে না এলে আমরা কি জোর করে আনব? বিএনপি তো গেল ৫ বছর সংসদে ছিল না, সংসদ কি চলেনি?

ঐক্যফ্রন্টের দুই এমপির শপথ নেয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক আখ্যায়িত করে তাদের স্বাগত জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এটা তো ভালো সিদ্ধান্ত। আমরা চাই তারা সংসদে এসে আলোচনা করবেন, বিতর্কে অংশ নেবেন। তারা যত সমালোচনা করবেন, ততই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন-এবারের নির্বাচন পক্ষপাতমূলক হয়েছে। তাহলে তিনি কীভাবে নির্বাচিত হলেন? আমরা মনে করি, তিনি কারও দয়ায় নির্বাচিত হননি। সংসদে আসা তার অধিকার। তাকে ফোন করে আনতে হবে কেন? আর তিনি সংসদে না গেলে নিজেকে বঞ্চিত করবেন। ভোটারদের বঞ্চিত করবেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, দেখুন, এবারের নির্বাচন ভালো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে বিএনপি কেন বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে, এটা আমার বোধগম্য নয়।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো অনেক আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এখন বিএনপি যে চেষ্টাটা করছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, সেটাতে তারা ফেল করেছে। তাদের এই অপচেষ্টা সফল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে তারা চিঠি লিখেছে, তাতে কেউ সাড়া দেয়নি। সবাই নির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে দু’দফা সংলাপ করেছি। এতেই স্পষ্ট, আমরা তাদের আগেও গুরুত্ব দিয়েছি। এবার তারা আসলে আবারও আলাপ-আলোচনা হতে পারত। শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে কথা বলতে পারত। কিন্তু তারা যেভাবে রিঅ্যাক্ট করেছে, সেটা তাদের স্বভাবসূলভ নেতিবাচক রাজনীতি।

কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এটাই তাদের শেষ কথা কিনা তা আমি জানি না।

এ অবস্থান থেকে দলটিকে সরে এসে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, আমি তাদের আহ্বান জানাব নির্বাচনে আসার জন্য। কারণ গত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপেও তাদের বেশির ভাগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই পারফেক্ট নির্বাচন হয় না। বাঘা বাঘা দেশেও নির্বাচন নিয়ে কথা উঠেছে। ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। এটা সরকারের বৈধতার কোনো সঙ্কট নয়। তবে, এবারের নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার উঠেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আপনার বইয়ে লিখেছেন একসঙ্গে দুইবার এই দেশে কোনো দলই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আপনার বইয়ে এমন একটি কথা কয়েকবার এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলো, তাহলে আপনার ভবিষ্যদ্বাণী কি ভুল? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, দৃশ্যপট সবসময় এক থাকে না। আমি যখন লিখেছি তখন প্রেক্ষাপট তেমনই ছিল। এটা তো জনমতের ওপর নির্ভর করে। জনমত যখন পাল্টে গেছে তখন পরিস্থিতি তো পাল্টাতে পারে তাই না?