শুধু পাইলট নয় নেপালের এটিসিরও ভুল ছিল: এএআইজি-বিডি

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী ২০১৯ ১৩:৩১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৫ বার।

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে নেপালি তদন্ত কমিশন একপেশেভাবে পাইলটকে দোষারোপ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে এয়ারক্রাফট অ্যাপিডেন্ট ইনভেসটিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশ (এএআইজি-বিডি)।

সোমবার বিকেলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেন এয়ারক্রাফট অ্যাপিডেন্ট ইনভেসটিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশ (এএআইজি-বিডি)-এর প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহ্‌উদ্দিন এম রহমতউল্লাহ। 

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে পাইলট সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে সেগুলো ঠিক আছে, তবে নেপালের এটিসির (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল) ভুল সংক্রান্ত বিষয়গুলো উঠে আসেনি।

এটিসি সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে অ্যামেইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ক্যাপ্টেন সালাহ্‌উদ্দিন এম রহমতউল্লাহ। বিমান দুর্ঘটনায় কোনভাবেই পার্সোনালাইজ করা হয় না বলে উল্লেখ করেন ক্যাপ্টেন সালাহ্‌উদ্দিন এম রহমতউল্লাহ। 

তিনি বলেন, নেপালের তদন্ত প্রতিবেদনে যা উঠে এসেছে তা ঠিক আছে। তবে পাইলটকে একপেশেভাবে দায়ি করা হয়েছে। কিন্তু এটিসির যে ত্রুটি  ছিল সেগুলো উঠে আসেনি। পাইলট ল্যান্ড করতে অ্যাপ্রোচ মিস করেছিল। কিন্তু এটিসি পাইলটকে সহায়তা করতে পারতো, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। বরং বিমানটি যখন এটিসি টাওয়ায়েরর কাছ দিয়ে যেয়ে বিধ্বস্ত হয় তখন এসিটি টাওয়ারের কর্মকর্তারা টেবিলের নিচে আশ্রয় নেন।

সংবাদ সম্মেলনে বেবেচিকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈম হাসান বলেন, অনেক সময় পাইলটরা দিক হারিয়ে ফেলেন। এটা প্রায় ঘটে। নেপালে পাহাড় ঘেরা বিমানবন্দর হওয়ায় এ ঝুঁকি বেশি। সে দিন পাইলট দিক হারিয়ে ফেলেছিলেন। পাইলট কোন কারণে অ্যাপ্রোচ মিস করেছেন। তবে তাকে সহায়তার করার দায়িত্ব ছিলো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের। নেপালের এটিসি সেটি করেনি। 

ক্যাপ্টেন সালাহ্‌উদ্দিন এম রহমতউল্লাহ বলেন, ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান একাই বিমানটি পরিচালনা করেছিলেন একই সঙ্গে রেডিওতে যোগাযোগ করছিলেন। এটা দোষের কিছু না।

তিনি আরও আরও বলেন, পাইলট যখন আ্যাপ্রোচ মিস করেন, তখন গ্রাউন্ডে থাকা দুজন পাইলট এটিসিকে অনুরোধ করেন যেন তারা ইউএস-বাংলার পাইলটকে রাডারের মাধ্যমে সহায়তা করে। কিন্তু এটিসি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এটিসি সহায়তা করলে এ দুর্ঘটনা হয়ত হতো না। 

এ দিকে নেপালি তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন অস্বীকার করে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।