টিআইবির দৃষ্টিতে দুর্নীতি বেড়েছে বাংলাদেশে

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী ২০১৯ ০৯:১৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৫৫ বার।

২০১৮ সালে দুর্নীতির ধারণা সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম বলে জানিযেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল  বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি ধারণা সূচক (সিপিআই) প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ কথা জানায়। 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তালিকার নিম্নক্রম অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৩তম। যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৪ ধাপ নিম্নে এবং উর্ধ্বক্রম অনুযায়ী ১৪৯ তম; যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৬ ধাপ অবনতি হয়েছে। ওই বছর এ ক্রমমাণ ছিলো ১৪৩তম। 

তিনি বলেন, ১০০ এর মধ্যে ৪৩ স্কোরকে গড় স্কোর হিসেবে বিবেচনায় বাংলাদেশের ২০১৮ সালের স্কোর ২৬ হযেছে। এই হিসেবে বলা যায়, দুর্নীতির ব্যাপকতা এখনও উদ্বেগজনক। 

‘দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিম্নক্রম অনুসারে এখনও বিব্রতকর। বাংলাদেশের পরে রয়েছে আফগানিস্তান। এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ সর্বনিম্ন অবস্থানে।’

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান। ২০১৮ সালের সিপিআই অনুযায়ী এর ৬৮ এবং উর্ধ্বক্রম অনুযায়ী অবস্থান ২৫। 

এরপরের অবস্থানে রয়েছে ভারত; যার স্কোর ৪১ এবং অবস্থান হচ্ছে ৭৮। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এরপরে শ্রীলঙ্কা ৩৮ স্কোর পেয়ে ৮৯ তম অবস্থানে রয়েছে।

৩৩ স্কোর পেয়ে ১১৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তান এবং ৩১ স্কোর পেয়ে ১২৪তম অবস্থানে নেমে গিয়েছে মালদ্বীপ। অপরদিকে ৩১ স্কোর পেয়ে ১২৪ তম অবস্থানে আরো রয়েছে নেপাল।

এরপর ২৬ স্কোর পেয়ে ১৪৯তম বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পরে ১৬ স্কোর পেয়ে সিপিআই ২০১৮ সূচকে ১৭২ তমা অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার নিম্নক্রম অনুসারে দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ সিপিআই সূচক অনুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠবারের মতো এবারও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।

সিপিআই অনুযায়ী, দুর্নীতির ধারণা সূচককে ০-১০০ এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতি অনুসারে ০ স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতা সর্বোচ্চ ১০০ স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতার সর্বনিম্ন বলে ধারণা করা হয়।

যে দেশগুলো সূচকে অন্তর্ভুক্ত নয় তাদের সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা হয় না। ১৯৯৫ সাল থেকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। 

২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথম এই তালিকাভুক্ত হয়; তখন এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল ৯১টি দেশ। ২০১৮ সালে এ সূচকে অন্তর্ভুক্ত মোট দেশের সংখ্যা ১৮০ টি।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।খবর বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর